রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

হেরে যাওয়াও আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট

হেরে যাওয়াও আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট

অভিনেত্রী জাকিয়া বারি মম। ইতোমধ্যে পার করেছেন ১৭ বছরের ক্যারিয়ার। চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, ওটিটি সব মাধ্যমেই তাঁর পদচারণা। ওটিটিতে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সাড়ে ১৬ ও অগোচরা তে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়চ্ছে সব মহলে।  তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন

 

ক্যারিয়ারের শুরুতে আপনি চেয়েছিলেন শুধুই ভালো অভিনেত্রী হতে, বর্তমানে নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

তখন বয়স কম ছিল। অনেক কিছুই বলেছি। আমি মফস্বলের মেয়ে। আমার বাবা-মা শুধু পড়ালেখা নয়, আমাকে দিয়ে সবকিছুই চেষ্টা করেছেন। পড়ালেখায় রেজাল্ট ভালো করার পাশাপাশি বাবা-মা চেয়েছিলেন নাচ, গান, আবৃত্তি, ছবি আঁকা, সাঁতার কাটা-সব যেন শিখতে পারি। ইন্ডাস্ট্রিতে এর আগে আমার পরিবারের কেউ কখনো জড়িত ছিলেন না। অভিনয়টা ভালোবেসে করি। দর্শকদের কাছে, ডিরেক্টরদের কাছে, সহশিল্পীদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। জনপ্রিয়তা কিংবা ভালো অভিনেত্রী এত শব্দের আসলে দরকার নেই। ছোটবেলায় বাবা-মা যে স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়েছিলেন সেটা কবে যে বড় হয়ে গেছে টেরই পাইনি। অভিনয়ের জন্য আমি একবার বাসা থেকে পালিয়েছিলাম। আমার মা টানা দশ বছর আমাকে ঢাকা নিয়ে আসতেন নাচ শেখাতে।

 

জীবনে টার্নিং পয়েন্ট কোনটা?

এক্ষেত্রে আমি লাক্সের প্রতি গ্রেটফুল। ওই প্ল্যাটফরমের কারণে মানুষ আমাকে চিনতে পেরেছে। আমার জীবনের বড় টার্নিং পয়েন্ট আমার ছেলের জন্ম হওয়া। ছোট ছোট অনেক টার্নিং পয়েন্ট রয়েছে। হেরে যাওয়াটাও আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। অনেক অডিশনে ‘নন সিলেক্টেড’ হওয়াও তেমনি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে। বিদ্যালয়ে আগে আমরা শিখি তারপর পরীক্ষা হয় আর ‘জীবন বিদ্যালয়’ আগে পরীক্ষা নেয়, তারপর মানুষ শিখে। আমি শিখছি।

 

আপনার কথায় বোঝা যাচ্ছে বড় মনের মানুষরা দার্শনিকও হয়...

হা হা হা। শাহরুখ খান বলেছেন, ‘গরিব মানুষদের দার্শনিক হওয়া উচিত না’।

 

অপর্ণা সেন, জরী, নীলপরি নীলাঞ্জনা ইত্যাদি কোন চরিত্রটি আপনাকে বেশি টানে?

আমি তো আসলে সব চরিত্রই অ্যাডপ্ট করি। তাই একটু একেক সময় একেক রকম আচরণ করি। যখন যে চরিত্রে কাজ করি বাস্তবে সেই চরিত্রটির মতো আচরণ করি।

 

অভিনয়ে অনুপ্রেরণা কারা?

ববিতা, মাধুরী দীক্ষিত, স্মিতা পাটেল, রেখা, সুবর্ণা মুস্তাফা, অপি করিম- উনাদের পারফরম্যান্স আমাকে অভিনয়ে অনুপ্রাণিত করেছে।

 

জনপ্রিয় মা’কে আপনার ছেলে আরিজ উদ্ভাস কীভাবে দেখে?

তার এক্সপ্রেশন একটু আলাদা। সিরিয়াস মুডে ও দারুণ কমেডি করতে পারে। ও বলে যে, আমার ফ্রেন্ডরা তোমার অটোগ্রাফ চায় একটু সাইন করে দিও প্লিজ।  জবাবে আমি বলি, তুই চাস না? সে উত্তর দেয়, আমি আর কী নিব! আল্লাহ তো তোমাকেই আমার করে দিয়েছে। হা হা হা।

সর্বশেষ খবর