সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
ক থো প ক থ ন

ভালো সিনেমার সংখ্যা বাড়ছে

ভালো সিনেমার সংখ্যা বাড়ছে

তারিক আনাম খান।  মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের একজন দাপুটে অভিনেতা এবং নাট্যনির্দেশক। হাল আমলের ওয়েব কনটেন্টের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। অভিনয় জীবনের জানা-অজানা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

আপনাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং ও বৈচিত্র্যময় চরিত্রে খুঁজে পাওয়া যায়। অভিনয়ের কোনো সূত্র বিশ্বাস করেন?

অভিনয়ের কিছু কনসেপ্ট বিশ্বাস করি। মানুষের টেনডেনসি হলো স্বাভাবিক মানুষকে দেখা। আমি যে কয়টা চরিত্র করেছি, চিন্তা করেছি সেটা যেন মানুষের জীবনের সঙ্গে মেলে, দেখে, বিশ্বাস করে। গ্রহণযোগ্য অভিনয়ই সবার করা উচিত। আই অলওয়েজ লার্ন। এটা খুবই ইমপোর্টেন্ট। ফরীদি, আসাদ, বাচ্চু ভাই, আলী যাকের, সারা যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, আবুল হায়াত- এঁদের সঙ্গে মিশে কিন্তু আমি অনেক ঋদ্ধ হয়েছি; অনেক কিছু শিখেছি। সবারই শেখার অ্যাটিচিউড রাখাটা কিন্তু খুবই জরুরি। মানুষ আসলে একটি কূপমন্ডূক জায়গার মধ্যে মানে একটি হাঁড়ির মধ্যে বন্দি হয়ে আছে। এটিকে ভাঙতে হবে। আর একটা বিষয় জানিয়ে রাখি, আমি এখনো হাতে লিখি। আমার মস্তিষ্ক আর কলমের আগার মধ্যে সংযোগ না হলে কিছুই লিখতে পারি না।

 

আপনার সমসাময়িক অনেকেই পর্দায় অনিয়মিত। কিন্তু আপনি এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। রহস্য কী?

রহস্য কিছুই নয়। আমি কাজ করতে ভালোবাসি তাই হয়তো নিয়মিত নাটক সিনেমার প্রস্তাব পাই। অন্যরা হয়তো বিষয়টিকে অন্যভাবে নেন। আমি তো নিজেকে সবসময় ভাঙতে চাই। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। অপেক্ষায় থাকি ভিন্নধর্মী নাটক বা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য। আমার স্বপ্নকে পর্দায় তুলে ধরার দায়িত্ব হচ্ছে পরিচালক ভাইদের। ভিন্নধর্মী গল্প, চরিত্রের গভীরতা আমাকে সুযোগ করে দেওয়ার। শিল্পীরা তো আঠালো মাটি। তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেওয়ার রূপকার হলেন পরিচালক ভাইয়েরা।

 

এই সময়ে অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন। এসবে কাজ করে কি সন্তুষ্ট?

সাম্প্রতিক সময়ে সিনেমা তৈরিতে একটা বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভালো সিনেমার সংখ্যাও বাড়ছে। তাতে করে সিনেমায় যারা অভিনয় করছেন, তারা কিছুটা স্বস্তি নিয়েই কাজ করছেন। দর্শকও ভালোই সাড়া দিচ্ছেন। সবমিলিয়ে আমিও আগ্রহ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।

 

বাংলা সিনেমার সার্বিক অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?

চলচ্চিত্রের দুঃসময় অনেকটা কেটে গেছে। এখন অনেক ছবি হচ্ছে। কতটা মানসম্পন্ন তা দর্শকই ভালো বলতে পারবেন। মোটা দাগে এটাই বলতে পারি, ভালো ছবির সংখ্যা বাড়েনি। খ্যাতিমান নির্মাতাদের পাশাপাশি তরুণ নির্মাতারাও কাজ করছেন। যারা এ সময়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে প্রশংসিত হচ্ছেন, তাদের উচিত বিরতি না দিয়ে নিয়মিত কাজ করা। তাহলে আমাদের সিনেমায় আরও প্রাণ সঞ্চার হবে।

 

‘ভাইরাস’ কি এই সময়ের দর্শক উপযোগী কনটেন্ট?

হুমম... ভাইরাস এই সময়ের গল্পের অন্যরকম এক উপস্থাপন। এই সময়ের দর্শক যে ধরনের কনটেন্ট দেখতে পছন্দ করেন, সে ধরনের গল্পেই নির্মাণ করা হয়েছে সিরিজটি।

সর্বশেষ খবর