শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

ব্যক্তিগত বিষয় ব্যক্তিগত থাকাই শ্রেয়

ব্যক্তিগত বিষয় ব্যক্তিগত থাকাই শ্রেয়

চলতি সময়ের ব্যস্ত অভিনেতা মুকিত জাকারিয়া। নিজের অভিনয়গুণে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। টিভি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করে পরবর্তীতে টিভি নাটকে অভিনয়ে আসেন মুকিত জাকারিয়া। পাশাপাশি চলচ্চিত্র ও ওটিটিতে অভিনয় শুরু করেন। এই তারকার সঙ্গে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

সবাই আপনাকে মজার মানুষ হিসেবেই জানে...

আসলে তা নয়। আমার যে এটিচিউড, উপস্থাপনটা দুই একটা জায়গায় হয়তো ডিফারেন্ট। হাসির একটু ব্যাপার আছে। আমি কিন্তু অনেক সিরিয়াস, অনেক ভিন্ন বা আলাদা রকমের ক্যারেক্টার করেছি, এখনো করছি। সাকসেসফুল্লি নিজেকে উপস্থাপন করেছি বিধায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছি আমি। কারণ, আমার বিভিন্ন নাটক, বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, বিভিন্ন ওয়েব ফিল্ম দুই বাংলার দর্শকদের কাছে দর্শকনন্দিত হয়েছে।

ছবিয়ালের বাইরে অসংখ্য কাজ করেছেন। এই কাজগুলো নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?

ছবিয়ালের নাটক খুব একটা করা হয়নি। বলতে গেলে ছবিয়ালের ১০-১২টা কাজ করেছি। এর বাইরে আমি প্রচুর স্বনামধন্য ডিরেক্টরের নির্মাণে অভিনয় করেছি। আমি ১৩ বছরে এ পর্যন্ত ৯৫০টি ড্রামা করেছি। এতগুলো কাজ করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। সেই হিসেবে ওই জায়গাটা আমার চলার পথকে সুগম করেছে। আলাদা রকমের কাজগুলো তাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

ক্যারিয়ারে এত কাজের মধ্যে বিজ্ঞাপনের কাজকেই এগিয়ে রাখতে চান?

আমি প্রায় ৯৫টি টিভিসি করেছি। প্রত্যেকটিই দর্শকরা পছন্দ করেছেন। এরমধ্যে চঞ্চল ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলে তিনি আমাকে বলেছেন, ‘আপনার লাস্ট বিজ্ঞাপনটা দুর্দান্ত হয়েছে।’ অনেক দর্শক মন্তব্য করে, আমার বিজ্ঞাপনগুলো দেখার পর তারা চোখ সরাতে পারেন না। এমনিভাবে অনেক মা আমাকে বলেন, আমার বিজ্ঞাপন দিয়ে তাঁরা তাঁদের শিশুদের সকালের খাবার, দুপুরের খাবার, রাতের ডিনার পর্যন্ত করান।

রাস্তায় বের হলে কতটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়?

বিড়ম্বনা বলবা না এটিকে। ভালোবাসা বলা যায়। আমি যখন বিভিন্ন সময় রাস্তায় বের হই রিকশা বা গাড়িতে করে, তখন আমাকে অনেক ভক্ত বিভিন্ন নামে ডাকে। তার মানে হলো আমার শুধু একটি, ১০টি বা ২৫টি নয়, আমার করা সিগনেচার নাটক বা বিজ্ঞাপন অনেক হয়ে গেছে। যার কারণে আমাকে অনেকেই ক্যারেক্টারের নাম ধরে ডাকে। এটা আমার এচিভমেন্ট।

ব্যক্তিগত ইস্যু নাকি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকাটাই শিল্পীদের উচিত?

ব্যক্তিগত ইস্যু বা পরনিন্দার চর্চা করা খুবই ব্যাড প্রাকটিস। আমি মনে করি, নিজের ব্যক্তিগত এটিচিউড দিয়ে নিজেকে প্রেজেন্ট করা উচিত নয়। কোনো পর্যায়েই উচিত নয়। ব্যক্তিগত বিষয় ব্যক্তিগত থাকাই শ্রেয়। আর শিল্পীকে তো কাজ দিয়েই নিজেকে প্রমাণ করতে হবে, তাই নয়?

নতুন কোনো ওটিটির কাজ শুরু করবেন?

আমি আপনার বা আমার মা-বাবার দোয়ায় এ পর্যন্ত ১৯টি ওটিটি কনটেন্টে কাজ করে ফেলেছি। আমার এই বয়সে বা বাচ্চা বয়সে আর কতটা চান! আমি অনেক করেছি। আর এখনো পর্যন্ত যে পরিমাণ অফার পাচ্ছি, আমার মতো এই পরিমাণ অফার কেউ পায় কি না জানা নেই। আর একটা বিষয়ে আমি খুবই সচেতন, কোনো কাজে বা চরিত্রে ডাবল মিনিংসের শব্দ আমি কখনো ব্যবহার করব না। প্রতিটি মানুষের কাছে একজন আদর্শ পুরুষ বা অভিনেতা কিংবা মডেল হিসেবে হৃদয়ে থাকতে চাই।

সর্বশেষ খবর