রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কণ্ঠশিল্পী থেকে অভিনয়ে

কণ্ঠশিল্পী থেকে অভিনয়ে

প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তাঁরা। গান গেয়ে দেশ-বিদেশে যথেষ্ট সুনামও কুড়িয়েছেন। গাইতে গাইতে একসময় শখের বশে হোক কিংবা ঘটনাচক্রে অভিনয় জগতে চলে আসেন তাঁরা। কেউ নিয়মিত কেউবা প্রথম ছবির পর আর  অভিনয় করেননি। এমন কয়েকজন বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পীর কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

রুনা লায়লা

রুনা লায়লাকে বলা হয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী। তাঁর শিল্পী ইমেজকে সম্মান জানিয়ে ১৯৯৫ সালে চাষী নজরুল ইসলাম তাঁকে নিয়ে নির্মাণ করেন একটি রোমান্টিক থ্রিলার মুভি ‘শিল্পী’। রুনা লায়লার জীবন কাহিনি নিয়েই ছবিটি নির্মিত হয়। এরপর অবশ্য তাঁকে আর কোনো ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।  

 

জাফর ইকবাল

ঢালিউডের অন্যতম স্টাইলিশ হিরো জাফর ইকবাল ছিলেন একজন সংগীতশিল্পী ও ভালো গিটার বাদক। খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী আনোয়ার পারভেজ ও শাহনাজ রহমতুল্লাহর ছোট ভাই হিসেবে তিনি ছোটবেলা থেকেই সংগীতের অনুকূল পরিবেশে বড় হয়েছেন। এক দিন খান আতাউর রহমানের নজর কাড়েন তিনি। ১৯৬৯ সালে খান আতার ‘আপন পর’ সিনেমায় নায়ক হিসেবে ঢালিউডে অভিষেক হয়। অভিনেতা হিসেবেও তিনি ছিলেন বেশ জনপ্রিয়।   

 

আঁখি আলমগীর

ছোটবেলা থেকেই মা গীতিকবি খোশনূর আলম ও বাবা অভিনেতা আলমগীরের উৎসাহে গান শেখেন ও অভিনয় করেন আঁখি আলমগীর। ১৯৮৪ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রে কিশোরী জরি চরিত্রে অভিনয় করেন শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর আর কোনো ছবিতে অভিনয় না করে গানেই মনোযোগী হন তিনি।

 

তাহসান খান

অভিনেতা তাহসান রহমান খান প্রথমে কিন্তু কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন।  এক সময় গানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধারাবাহিক ও একক নাটক-টেলিফিল্ম এবং উপস্থাপনায়ও তাঁর পারফরমেন্স দর্শকদের মনোমুগ্ধ করে। ২০১৯ সালে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘যদি একদিন’ সিনেমার মাধ্যমে তাঁর ঢালিউডে চিত্রনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে। এরপর আর কোনো ছবিতে এখন পর্যন্ত অভিনয় করেননি তিনি।

 

নুসরাত ইমরোজ তিশা

গান দিয়েই জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিশার পথচলা শুরু হয়েছিল। মাত্র ৫ বছর বয়সেই সংগীতচর্চা শুরু করেন তিশা। সুন্দর গান গেয়ে ১৯৯৫ সালে নতুন কুঁঁড়ি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ২০০৯ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার’ সিনেমার মধ্য দিয়ে তাঁর ঢালিউডে অভিষেক হয়। এরপর আরও বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন তিশা। 

 

এস ডি রুবেল

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল। ২০১০ সালে মনতাজুর রহমান আকবর রহমান পরিচালিত ‘এভাবেই ভালোবাসা হয়’ সিনেমাতে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেন। বর্তমানে স্বপন চৌধুরী পরিচালিত আপকামিং ‘বৃদ্ধাশ্রম’ সিনেমাতে তাঁকে আবার দেখা যায় চিত্রনায়িকা ববির বিপরীতে। 

 

মেহের আফরোজ শাওন

 ‘এসো গান শিখি’ টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর প্রথম টেলিভিশনে আসা। ১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমার মাধ্যমে তাঁর ঢালিউডে অভিষেক ঘটে। ২০১৬ সালে তিনি ‘কৃষ্ণপক্ষ’ নামের একটি সিনেমাও পরিচালনা করেছিলেন।

 

রাশেদ উদ্দীন তপু

জনপ্রিয় গানের শিল্পী তপু। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তাঁকে কাস্ট করেন ‘থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার’ সিনেমায় নায়িকা তিশার বিপরীতে। ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমাটিই তপুর একমাত্র সিনেমা। এর জন্য সমালোচকদের পছন্দের সেরা অভিনেতা হিসেবে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।

 

মমতাজ

গায়িকা মমতাজ বেগম। পালা গান থেকে প্লেব্যাক পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। ২০০৫ সালে পরিচালক উত্তম আকাশ তাঁকে নিয়েই তাঁর বায়োপিক সিনেমা ‘মমতাজ’ নির্মাণ করেছিলেন। এ ছবিটিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন হুমায়ূন ফরীদি ও হেলাল খান। 

 

খান আসিফুর রহমান আগুন

কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমানের পুত্র আগুনের সংগীতজীবন শুরু হয় ‘সাডেন’ ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবে। সোহানুর রহমান পরিচালিত ১৯৯২ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় প্লেব্যাকের মাধ্যমে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে  তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এরপরই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন আগুন।

১৯৯৭ সালে বাবা খান আতাউর রহমানের ‘এখনো অনেক রাত’ সিনেমায় সহনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে তাঁর ঢালিউডে প্রথম অভিষেক হয়। এরপর নিয়মিত অভিনয় করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর