বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

আমি অনেক খোলা মনের মানুষ

আমি অনেক খোলা মনের মানুষ

জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মোজেজা আশরাফ মোনালিসার আজ জন্মদিন। এই মিষ্টি হাসির মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা প্রবাসী। তবে দেশের প্রতি টান অনুভব করেন বলে মাঝে মধ্যে দেশে আসেন। সময়-সুযোগ হলে নাটক-বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? বিশেষ দিনে জানাই শুভ জন্মদিন!

আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। ধন্যবাদ আপনাকে, আমার জন্মদিন মনে রেখে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। এখানে সবসময় কাজের মধ্যে থাকি। পড়ালেখাও করছি। এখানে অনেক বাঙালি আছেন। বিভিন্ন সময় তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়, আড্ডা হয়। সবমিলিয়ে ভালোই সময় কাটছে।

 

দিনটি কীভাবে কাটবে?

জন্মদিন উপলক্ষে কখনো কোনো কাজ রাখি না। বন্ধুদের সঙ্গে সময় দিয়েই দিনটি কেটে যায়। আর দেশ-বিদেশ থেকে তো প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পাই। এই তো!

 

মোজেজা মোনালিসা নামের রহস্য কী?

মোজেজা হচ্ছে আরবি নাম। এটার অর্থ অলৌকিক বা মিরাকেল। এই নামটা আমার আম্মু-আব্বু দুজনে মিলে রেখেছেন। আর মোনালিসা হলো একটি মিস্টিরিয়াস নেইম, সবাই কিন্তু জানে। মোনালিসা একজন রহস্যময়ী নারী। তবে আমার মধ্যে কোনো রহস্য নেই। আমি ওপেন বুক। সবাই আমার সবকিছুই জানে। আমি অনেক খোলা মনের মানুষ। আমি খুবই হ্যাপি মোজেজা মোনালিসা নাম নিয়ে।

 

বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে দেশকে একসময় মাতিয়ে দিয়েছিলেন...

হাহাহা... তেমন করে মাতিয়ে দেইনি। তবে হ্যাঁ, আমি যখন এসেছি তখন আমার করা বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অনেক মা-বাবা তাদের বাচ্চাদের খাওয়াতেন। ওই সময় খুবই কালারফুল ছিল ‘বাংলালিংক দেশ’ নামের বিজ্ঞাপনটি। একদম নাচে-গানে ভরপুর বিজ্ঞাপনগুলো হতো সে সময়। আমার কাছে তখন ছেলে ফ্যান, মেয়ে ফ্যান, বাচ্চা-বুড়ো সবার কমেন্ট আসত। তবে প্রচুর কমেন্ট আসত মায়েদের। তাঁরা বলতেন, আমি তো আমার বাচ্চাকে তোমার অ্যাড দেখিয়ে খাওয়াতাম!

 

১০ বছর বয়সে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পথ চলাটা কেমন ছিল?

সঠিক টাইমটা মনে নেই। তবে অনেক পিচ্চি অবস্থায় বলা যায়। আমার নাচের অনেক শখ ছিল। আমার আম্মার কাছ থেকে শুনেছি যে, শিশু একাডেমিতে আমার বোনেরা নাচ শিখত। আম্মা খুবই সাংস্কৃতিকমনা। তিনি সর্বদা চাইতেন যেন আমরা সবাই নাচ-গান শিখি। অনেক ছোটবেলা থেকেই নাচের সঙ্গে জড়িত। নাচ থেকেই আমার শুরু।

 

হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গেও কাজ...

আমি অসম্ভব ভাগ্যবতী। প্রায় সব গুণী মানুষের সঙ্গেই কাজ করার সৌভাগ্যটা হয়েছে। তবে হুমায়ূন স্যারের সঙ্গে কাজ করার অনুভূতিটা বলে বোঝাতে পারব না। একটাই কাজ হয়েছে তাঁর সঙ্গে। তখন অনেক পিচ্চি ছিলাম। তখন কেবল মিডিয়ায় হাঁটতে শিখছি বলা যায়। আমার অ্যাক্টিংয়ের কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। যতটুকু শিখেছি কাজ করতে করতে। তবে ওই সময়টায় আমাকে দিয়ে যে কাজ করার চিন্তাটা হুমায়ূন স্যারের মাথায় এসেছিল, এটা অন্যরকম বিষয় আমার কাছে। রিহার্সেলে যখন তিনি আমার সামনে আসেন সে সময় আমার হাত-পা কাঁপছিল।

 

এলিজাবেথ আরডেন-এর সঙ্গে যুক্ত...

একটি লাক্সারিয়াস ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিতে পেরে একজন বাংলাদেশি হিসেবে ভীষণ গর্বিত।

 

সম্প্রতি নিউইয়র্কের একটি শোতে পারফর্ম করলেন। কেমন হলো?

অনেক ভালো হয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক প্রিয় মানুষ এসেছিল। সবাই একই মঞ্চে পারফর্ম করেছি। অনেকদিন পর একসঙ্গে আড্ডা ও আনন্দ করেছি।

 

দেশে আসবেন কবে?

সময় পেলেই দেশে চলে আসি। এবারও শিগগিরই দেশে ফিরব।

 

সিঙ্গেলই থাকবেন?

আপাতত কাজ আর পড়ালেখা নিয়েই বিজি থাকতে চাই। অন্যকিছু পরে ভাবা যাবে। এখন ভাবছি না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর