শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

বঙ্গবন্ধুর পিতার চরিত্রে অভিনয় করেছি

বঙ্গবন্ধুর পিতার চরিত্রে অভিনয় করেছি

দুই বাংলার তারকা চঞ্চল চৌধুরীর ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। গতকাল মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। সেখানে বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমানের মধ্যবয়সী চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা। এ সিনেমা ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

মুজিব : একটি জাতির রূপকার মুক্তি পেয়েছে, কেমন বোধ হচ্ছে?

সবচেয়ে ভালো লাগা যেটা যে, আমি এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরেছি। ইতিহাসের একটা অংশ হতে চেয়েছিলাম, হতে পারলাম। সেটা কোন চরিত্রে অভিনয় করেছি তা বড় কথা নয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। তাঁকে নিয়ে এত বড় বিশাল কাজ আগে কখনো হয়নি এবং সেই কাজের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা থাকবে হয়তো আমাকে একটু স্ক্রিনে দেখা যাবে এটা আমি মনে করি আমার জন্য একটা বড় পাওয়া এবং ভালো লাগা তো অবশ্যই।

 

চরিত্রটি নিয়ে দর্শকদের বিস্তারিত একটু আভাস দেবেন কি?

আমি বঙ্গবন্ধুর পিতার চরিত্রে অভিনয় করেছি। শেখ লুৎফর রহমানের। একটা মধ্যবয়স যখন উনার ছিল। সেই মধ্যবয়সী চরিত্রটা আমি করেছি, আর বয়স্ক শেখ লুৎফর রহমান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমাদের খায়রুল আলম সবুজ ভাই।

 

সিনেমাটি বঙ্গবন্ধুর জীবনের সঠিক ইতিহাস জানাতে কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে?

অবশ্যই অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। কারণ আমরা ইতিহাসবিস্মৃত একটি জাতি। ইতিহাস বিকৃত হয়েছে বহুবার। সেই জায়গা থেকে আমি মনে করি শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার মাধ্যমে জাতি এবং নতুন প্রজন্ম সত্য ইতিহাস জানতে পারবে।

 

ওপার বাংলায় মৃণাল সেনের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি মুক্তির জন্য কি প্রস্তুত?

মৃণাল সেনকে নিয়ে বায়োপিক ‘পদাতিক’ আগামী বছর রিলিজ পাবে। তবে একটা খুব চ্যালেঞ্জের বিষয় হচ্ছে যে, আমরা তো অনেক দিন ধরে অভিনয় করছি বা যারাই অভিনয় করেন, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বা যা কিছু অ্যাচিভ করেন, চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে কোনো বায়োপিকে অভিনয় করা। আমি মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করার চেষ্টা করেছি। আমি খুব ভালো করেই জানি যে অনেক জায়গায় হয়তো দর্শকের দেখে ভালো লাগবে আবার কিছু কিছু জায়গায় তারা অভিযোগও তুলবে। এটা স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রেও এমনটা হলে সেটা স্বাভাবিক বিষয়।

 

ওয়েব ফিল্ম মনোগামীসহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে চাই।

‘মনোগামী’ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ওয়েব ফিল্ম। নেক্সট মাসে আরেকটি ওয়েব সিরিজ আছে। সেটার শুটিং করব। আর আগামী বছরে তো ছবি রিলিজ হবে বা কিছু কথাবার্তা চলছে হয়তো নতুন কোনো প্রজেক্ট করা হবে।

 

অঞ্জন দত্তের সঙ্গে একটি কাজের কথা ছিল?

হ্যাঁ, করার কথা ছিল। আসলে হয় কি যে, একটা কাজ করার জন্য যে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করতেই পারে বা প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হতেই পারে। তবে সেটা ফাইনাল হওয়ার সঙ্গে তো অনেক কিছুরই সম্পর্ক। বাজেট, প্রডাকশনের প্রিপারেশন। তো সবটা মিলে অনেক সময় হতে হতেও হয় না। কিন্তু করার আগ্রহটা থেকে যায়। যেমন এবারও আমি কলকাতায় যখন কাজ করতে গেছি পদাতিকের, তখন অঞ্জনদা একদিন আমাকে ফোন করেছিলেন। ফোন করে বললেন, ‘তোমার সঙ্গে এর আগে দুটো কাজ করতে করতে তো হলো না। তা আরেকটি কাজের জন্য আমি তোমার নাম প্রস্তাব করতে চাই। তুমি আমার সঙ্গে করবে কাজ?’ আমি বললাম, ‘অবশ্যই দাদা প্রস্তাব করেন।’ তো এ পর্যন্ত কথা আছে, এরপর বাজেট বা সবকিছু মিলে যদি কাজটা ঠিকঠাক থাকে তো হয়ে যাবে। না হলে হবে না।

 

সর্বশেষ খবর