রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

নিঃসন্দেহে অনেক বড় স্বীকৃতি

নিঃসন্দেহে অনেক বড় স্বীকৃতি

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা রোজিনা। সত্তরের দশক থেকে টানা তিন দশক পর্দা কাঁপিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২-এ আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শুধু বাংলাদেশ নয়, নেপাল, পাকিস্তান, ভারতসহ নানা দেশের চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন

 

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২-এ আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে...

এর জন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। এটি নিঃসন্দেহে অনেক বড় স্বীকৃতি। আমি দেশ-বিদেশে প্রচুর সম্মননা পেয়েছি। আমি পাকিস্তান থেকে নিগার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। আমি মনে করি আমার অর্জনের কৃতিত্ব শুধু আমার নয়, সবার। আমার ভক্তদের, সহকর্মীদের, পরিচালকদের সবার। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এ আজীবন সম্মাননা দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা।

 

ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার আগ্রহ ছিল...

ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা ছিল। শাবানা এবং ববিতাকে দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। কিন্তু আমার পরিবার এটা অ্যালাউ করেনি। একবার এক ছবির শুটিং হচ্ছিল, আমরা কয়েকজন তা দেখছিলাম। ওই সময় একজন বলল, এই মেয়ে এসো একটা শট দিবা। সঙ্গে কাজিন ছিল, ভাগ্নে ছিল ওরাও উৎসাহ দিয়েছিল। সেটাই প্রথম। একজন ফটোগ্রাফার সে সময়ই আমার কিছু ছবি তুলেছিল। সেটা সব জায়গায় সার্কুলার পায়। এরপর একটি ডকুমেন্টারিতে কাজ করেছিলাম। তারপর চলচ্চিত্রের প্রযোজক, পরিচালকরা আমাকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হন। আমার রোজিনা নামটি কিন্তু আমার চলচ্চিত্রের পরিচালকের দেওয়া। একটি চলচ্চিত্রে আমার চরিত্রের নাম দেওয়া হয়েছিল রোজিনা, সেই থেকে আমার নামও রোজিনা। এটি আমার মা-বাবার দেওয়া নাম নয়।

 

প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন...

আমজাদ ভাইয়ের ‘কসাই’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাই। আমার জীবনীতে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালে আবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাই। আমি আজীবন নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেকে তৈরি করেছি ভালো অভিনয়শিল্পী হয়ে উঠতে। প্রথম ১৯৭৭ সালে এফ কবীর চৌধুরীর ‘রাজমহল’ ছবিতে চিত্রনায়ক ওয়াসিমের বিপরীতে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পাই।

 

অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন...

হ্যাঁ, অসংখ্য ছবিতে আমি অভিনয় করেছি। ওয়াসিমের বিপরীতে শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। দেশে-বিদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। শুধু বাংলাদেশ নয়- নেপাল, পাকিস্তান, ভারত এসব দেশের চলচ্চিত্রেও অভিনয় করি। রাজ্জাক, ফারুক, আলমগীর সবার সঙ্গেই কাজ করা হয়েছে। তখন চলচ্চিত্রের গানগুলো ছিল অনেক মেলোডিনির্ভর যা এখনকার ছবিতে খুব একটা দেখা যায় না। আমাদের সময় গল্প, গান, চিত্রনাট্য সবকিছু নিয়েই ভালো করার একটা চেষ্টা ছিল। আমরাও চেষ্টা করতাম সর্বোচ্চটা দেওয়ার। আশির দশকে একবার গুলিস্তান সিনেমা হল বিল্ডিংয়ে আগুন লেগে অনেক চলচ্চিত্র নষ্ট হয়ে যায়।

 

 

সর্বশেষ খবর