চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শারমীন জোহা শশী। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ব্যতিক্রম চরিত্রে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। ‘হাজার বছর ধরে’র সেই টুনির সঙ্গে কথোপকথনে- পান্থ আফজাল
কেমন আছেন? শুটিংয়ে রয়েছেন?
জি, ভালো আছি। হুমম, একটি নাটকের শুটিং করছি।
কী কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত এখন?
বেশকিছু কাজ করলাম। কিছুদিন আগে একটি কাজ করলাম, ১৪ ডিসেম্বর আরেকটি করেছি। এসআরকে স্টুডিওর ব্যানারে সিরিয়ালের বাংলা ডাবিংয়ে কণ্ঠ দিচ্ছি। অন্যদিকে মাতিয়া বানু শুকুর পরিচালনায় বিটিভির ধারাবাহিক ‘কুসুম কথা’ ও ইদ্রিস হায়দারের ‘উড়ালপঙ্খী’ করেছি।
টিভি নাটকের এখনকার অবস্থা কেমন?
আমাদের দর্শকের পছন্দের জায়গা পরিবর্তন হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা নাটকের গল্প থেকে সরে এসেছি। আগেও গল্পনির্ভর নাটকে নিয়মিত কাজ করেছি। এখন নাটকে দু-তিনটি চরিত্রের বেশি নির্মাতারা রাখতে চায় না। গল্পনির্ভর নাটক বাদ দিয়ে কমেডি নাটকে সবাই মনোযোগী। আমি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দেখেছি কমেডি নাটকেও অনেক সুন্দর গল্প থাকে। কিন্তু এখন সে বিষয়টি নেই। আমি মনে করি নাটকের গল্প নির্বাচনে আমাদের আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী কি কাজ করতে পারছেন?
আমাকে দিয়ে যখন যা হওয়ার তা হবেই। এ নিয়ে হায় হায় করার কিছু নেই। যে নির্মাতা আমার ওপর আস্থা রাখেন তিনি আমাকে নিয়ে কাজ করবেন এটা বিশ্বাস করি। বর্তমানকে আমি বেশি জোর দেই।
‘হাজার বছর ধরে’র পর আর ছবি করলেন না কেন?
আমার কাছে চলচ্চিত্রের প্রস্তাব আসে। কিন্তু যে প্রস্তাবগুলো পাই সেগুলো মনে দাগ কাটে না। এ কারণেই চলচ্চিত্রে কাজ করা হচ্ছে না। ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমা মুক্তির পর প্রায় ২০-২৫টি সিনেমায় কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু তখনকার ছবিগুলোতে আপত্তিকর দৃশ্য যুক্ত করা হতো। এমনকি কিছু কিছু ভালো ছবির ভিতরেও কাটপিস জুড়ে দেওয়া হতো। ছোট ছিলাম, মা-বাবা চাইতেন না আমি এসবের মধ্যে কাজ করি। তবে আমার অভিনীত একটি মাত্র চলচ্চিত্রের জন্যই এখনো দর্শকের কাছ থেকে যে প্রশংসা পাই তা অভিনেত্রী হিসেবে বড় স্বার্থকতা বলে মনে করি।
টুনির পর তেমন কোনো চরিত্রে পাওয়া যাচ্ছে না কেন?
হয়তো আমাকে নিয়ে নির্মাতারা ভাবেন না। হয়তো তারা ‘টুনি’র মতো নরম চরিত্রের একটা মেয়ে হিসেবেই আমাকে সব সময় ভাবেন। হয়তো অনেকেই ভাবেন আমি বিদেশ চলে গেছি। অথচ আমি কিন্তু নানা রকম চরিত্রে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। আসলে কাজের বাইরে কারও সঙ্গে আড্ডা দেওয়া বা যোগাযোগ করা হয় না, এইটাও একটা কারণ।
কী ধরনের গল্প আর চরিত্রে কাজ করতে চান?
রোমান্টিক, অ্যাকশন, থ্রিলার- সব ধরনের গল্পেই কাজ করতে চাই। আমি গল্পের ব্যাপারে খুবই চুজি। যেসব গল্প ভালো লাগে সেসবে কাজ করি, ভালো না লাগলে করি না। আসলে আমি যেসব গল্প বা চরিত্রে কাজ করতে চাই সেগুলো আসে না, যেগুলো আসে সেগুলো চাই না। আমি শিল্পী, আমি সবসময়ই কাজ করতে চাই।
একা থাকবেন আর কতদিন?
যে কোনো সময় বিয়ে করে ফেলব। মাকে বলেছি পাত্র দেখতে। আল্লাহ যদি চান, পরিবার হয়তো পাত্র খুঁজে বের করবে।