শিরোনাম
বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাজনীতিতে যত বলিউড তারকা

রাজনীতিতে যত বলিউড তারকা

ভারতের রাজনীতিতে বরাবরই বলিউড গ্ল্যামারের ছোঁয়া রয়েছে। কমপক্ষে আশির দশক থেকে বলি তারকাদের  রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। অনেকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। এমন বেশ কজন বলিউড তারকার কথা তুলে ধরেছেন-  আলাউদ্দীন মাজিদ

 

সুনীল দত্ত

১৯৮৪ সালে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন তিনি। কংগ্রেসের হয়ে পাঁচবার সংসদ সদস্য ছিলেন। পঞ্চাশ দশকে চলচ্চিত্রে এসে আশির দশক পর্যন্ত একজন জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন।  বেশকিছু ছবি পরিচালনাও করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনীতিক হিসেবেও বেশ সমীহ, সম্ভ্রম পেতেন। রাজনীতির জগতে সুনীল ছিলেন বিরল গোত্রের মানুষ। যে ধরনের ব্যক্তিত্বের মানুষ সাধারণত রাজনীতিতে দেখা যায়, সুনীল তেমনটা ছিলেন না, সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। প্রয়াত সুনীল দত্তকে একজন সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তিনি ২০০৪-০৫ সালের দিকে মনমোহন সিং ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তার কন্যা প্রিয়া দত্তও একজন সাবেক সংসদ সদস্য।

অমিতাভ বচ্চন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের মা তেজী বচ্চন এবং রাজীব গান্ধীর সঙ্গে অমিতাভের বন্ধুত্বের সুবাদে বলতে গেলে পারিবারিক সম্পর্কের হাত ধরে ১৯৮৪ সালে রাজনীতিতে আসেন  সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন। বন্ধু রাজিব গান্ধীর দল কংগ্রেসের হয়ে এলাহাবাদ থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন।

হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্র

হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র, দুজনই ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে ভোটে লড়েন ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৩-০৯ মেয়াদে রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে রাজ্যসভার এমপি ছিলেন হেমা মালিনী।

রেখা

২০১২ সালে কংগ্রেস রাজ্যসভার একটি আসনে রেখাকে মনোনীত করা হয়। কিন্তু এর পরের দিনগুলোতে সংবাদমাধ্যমে বারবার আলোচিত হয় তার সংসদে অনুপস্থিতি।

জয়া বচ্চন

স্বামী অমিতাভের মতো জয়া বচ্চনও রাজনীতির ময়দানে যুক্ত। কিন্তু কংগ্রেসের বদলে তিনি সমাজবাদী পার্টির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্ষসেরা নারী পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে পুরস্কৃতও হন তিনি।

বিনোদ খান্না

সত্তর দশকের এ জনপ্রিয় অভিনেতা ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়েন ও চারবার সংসদ সদস্য নির্বচিত হন। তিনি দুই দফায় দীর্ঘদিন ধরে গুরাদপুরের সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮-২০০৯ পর্যন্ত ও ২০১৪-১৭ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি ইউনিয়নের সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী হন। এর ছয় মাস পরই তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে।

শত্রুঘ্ন সিনহা

শত্রুঘ্ন সিনহা দীর্ঘকাল ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদও লাভ করেন।

রাজেশ খান্না

১৯৯১ সালে কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে লড়েন রাজেশ খান্না, কিন্তু বিজেপির লালকৃষ্ণ আদভানির কাছে হেরে যান। পরে ১৯৯২ সালে একই আসনে শত্রুঘ্ন সিনহাকে পরাজিত করেন তিনি। রাজেশ খান্না ১৯৯২ সালে কংগ্রেসের হয়ে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সেই পদে আসীন ছিলেন।

রাজ বব্বর

উত্তর প্রদেশ রাজ্যে কংগ্রেসের প্রধান ছিলেন এ অভিনেতা। এর আগে তিনি সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। জনতা দলে যোগ দেন ১৯৮৯ সালে। সমাজবাদী পার্টি থেকে দুবার এমপি হন। পরে কংগ্রেস থেকে আবারও এমপি নির্বাচিত হন।

জয়াপ্রদা

২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টির হয়ে সংসদ সদস্যের ভূমিকা পালন করেন এ অভিনেত্রী। এরপর বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। তেলেগু দেশম পার্টির মাধ্যমে রাজনীতির সূচনা ১৯৯৪ সালে। পরে সমাজবাদী পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন ২০০৪ ও ২০০৯ সালে।

শাবানা আজমি

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় অবদান রাখার ফলে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শাবানা আজমিকে সাম্মানিক সংসদ সদস্যের পদ দেওয়া হয়। এ পদে তিনি ছিলেন ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত।

মিঠুন চক্রবর্তী

বাংলা থেকে হিন্দি- সব ভাষার ছবিতেই সমান জনপ্রিয় এ বাঙালি অভিনেতা ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় যোগ দেন। কিন্তু ২০১৬ সালে ইস্তফা দেন তিনি।

গোবিন্দ

২০০৪ সালে উত্তর মুম্বাই আসনে কংগ্রেসের হয়ে জয়লাভ করেন বিখ্যাত এ অভিনেতা। কিন্তু পরের নির্বাচনে প্রার্থীত্ব না পাওয়ায় রাজনীতি থেকে সরে আসেন গোবিন্দ।

পরেশ রাওয়াল

ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে প্রায়ই লড়তে দেখা যায় এ অভিনেতাকে। তিনি পূর্ব আহমেদাবাদের সংসদ সদস্য ছিলেন।

উর্মিলা

অভিনেত্রী উর্মিলা কংগ্রেসের একটি প্রচার সভায় রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে ভারতীয় কংগ্রেস দলে যোগ দেন।

সর্বশেষ খবর