বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

স্বীকৃতি পাওয়ার খুবই ইচ্ছা

স্বীকৃতি পাওয়ার খুবই ইচ্ছা

দিনকে দিন দর্শকের মন জয় করে নিচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের অভিনেত্রী আইশা খান। অভিনয় ছাড়াও মডেলিং, উপস্থাপনা, নাচ- সব শাখাতেই বিচরণ তার। ‘কন্ট্রাক্ট’-এর উমা বা ‘কাইজার’-এর সাবা কিংবা ‘দাগ’-এর ইরা চরিত্রে অভিনয় করা আইশা সম্প্রতি দীপ্ত প্লের ড্রামা সিরিজ ‘হৃদমাঝারে’তে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা  নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন। এখন কী অবস্থা?

এখন সুস্থ। গত মাসের ২০ তারিখে শুট ছিল। ব্যাক টু ব্যাক টানা ১২ ঘণ্টা কাজ করেছি। এরপর ৩০-৩১ তারিখে ইভেন্ট করার পর কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ি। এখন ঠিকঠাক।

বছরের শেষ দিন মুক্তি পায় ‘হৃদমাঝারে’...

এটি আবু হায়াত মাহমুদের নির্মাণে দীপ্ত প্লের ওয়েব সিরিজ। চরিত্রটা খুব চ্যালেঞ্জিং না হলেও গল্পটা ইউনিক। এটিতে চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চিকিৎসকদের কী ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়, সম্পর্কের টানাপোড়েন, মা-বাবার ইমোশন, ত্রিভুজ প্রেম দেখানো হয়েছে এখানে।

আর বুক পকেটের গল্প?

আমি কাজ কম করলেও সর্বদা বৈচিত্র্যময় চরিত্রে কাজ করতে পছন্দ করি। যদিও জাহিদ প্রীতমের ‘বুক পকেটের গল্প’ তেমন নয়; সহজ-সাধারণ গল্প। তিনটি আলাদা ভালোবাসার গল্প মিলে এ ফিকশানটি। এটিতে বাস্তবের আইশা যেমন মালিহা চরিত্রেও ঠিক তেমনি দেখানো হয়েছে। 

কোরিয়ান টিভি সিরিজের বাংলা ডাবিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

এক কথায় অসাধারণ! প্রথমবার বাংলা ডাবিংয়ে ভয়েজ দেওয়া। এসআরকে স্টুডিওর প্রযোজনায় কোরিয়ান ড্রামা ‘রিপ্লে নাইনটিন এইট্টি এইট’-এ ছোট ডকসুন চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছি। সিরিজটি ২০ পর্বের। অনেক ইনজয় করছি। গতকাল ছিল ডাবিংয়ের শেষ দিন। আমি সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই খালিদ হোসেন অভি ও শিপলু রহমান খানকে। 

এ বছরে কি কাজ আসবে?

গত বছরে সাতটি কাজ ‘একটা তুমি লাগবে’, ‘বুকের মধ্যে আগুন’, ‘স্বাদের আয়োজন’, ‘মারকিউলিস’, ‘সুপার শপ লাভ’, ‘রক্ত লাগবে’ ও ‘লাভ মি টু’ প্রচার হয়েছিল। এ বছর নাটক ‘দূরের দেখা’, ‘স্মৃতি ভালোবাসি তোমায়’ এবং ‘খুশবু’ প্রচারিত হবে। রাকেশ বসুর ওয়েব ছবি ‘ননসেন্স’ মুক্তি পাবে শিগগির। ভালোবাসা দিবসেরও নাটক ‘বুক পকেটের গল্প’র কথা তো বলেছিই। আর বিপ্লব হায়দারের ‘ভয়াল’ ওয়েব সিনেমা করেছি। এটির ১৫% শুট বাকি রয়েছে।

ওটিটির কনটেন্টগুলোতেই বেশি আলোচিত হয়েছেন...

আসলে বেশিরভাগ ওটিটির কনটেন্টেই ভালো ভালো শিল্পীর সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি। কন্ট্রাক্ট, কইজার, দাগ, ক্যাফে ডিজায়ার, এ এমন পরিচয়, মারকিউলিস তাই দর্শক পছন্দ করেছেন। এখনো কোথাও গেলে দর্শকেরা আমাকে বলেন, ‘আপু, আপনি ইরা না? আপনার দাগ দেখেছি। আপনিই কি উমা? কেউ কেউ বলে, সাবা আপা কেমন আছেন?’

বড় পর্দায় কবে দেখতে পাব?

বড় পর্দায় আপাতত না। কারণ, বাণিজ্যিক ছবিতে আমি অভিনয়ে ইন্টারেস্ট পাচ্ছি না। তবে খুব ইচ্ছা আছে রেহানা মারিয়ম নূরের মতো ফেস্টিভ্যালের জন্য কোনো কনটেন্টে কাজ করা। বাইরের চলচ্চিত্র উৎসবে যে ধরনের সিনেমা প্রদর্শিত হয়, সে ধরনের। জীবনে স্বীকৃতি পাওয়ার খুব ইচ্ছা রয়েছে।

অন্যান্য ব্যস্ততা?

টিভি উপস্থাপনার চেয়ে বাইরের ইভেন্ট করা হচ্ছে বেশি এখন। বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ কম করছি।

ঘোরাঘুরি করতে কতটা পছন্দ?

আমি প্রচুর ঘুরতে পছন্দ করি। হুটহাট প্ল্যান করি। এ বছরও প্ল্যানিং চলছে। দেখা যাক কী হয়।

সবচেয়ে কাছের বন্ধু?

সাদিয়া আয়মান। ওর সঙ্গে আমার বন্ডিং ভালো। ও ঘুম থেকে ওঠে চা-খাবার বানানোর সময় ফোন দেয়। রাত-বিরাতে আড্ডা-ঘোরার সঙ্গীও সে। কেউ কেউ মজা করে আমাদের স্বামী-স্ত্রীও বলে...হাহাহা। সাদিয়া বাস্তবে বেশি টমবয় টাইপের, আমি কম। তবে ‘উই আর প্যারালাল’।

সর্বশেষ খবর