শিরোনাম
শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় সফল তারকারা

ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় সফল তারকারা

জয়া

ছোট পর্দার তারকা হয়ে বেশ দর্শকপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন তারা। একসময় বড় পর্দায় তরী ভেড়ান। সেখানেও সাফল্যের দেখা মেলে তাদের। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় গিয়েও সমান জনপ্রিয় হয়েছেন এমন কজন তারকার কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

জয়া আহসান

জয়া আহসান। টেলিভিশন নাটকে তার অভিনয় জীবন শুরু। এখন টিভি নাটকে তাকে আর দেখা যায় না। এপার বাংলা, ওপার বাংলা দুই জায়গাতেই চলচ্চিত্রে তিনি ব্যস্ত তারকা।

তার অভিনীত ব্যাচেলর, গেরিলা, চোরাবালি, জিরো ডিগ্রি, দেবী, বিউটি সার্কাস-সহ বেশকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক প্রশংসিত ও একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালে অভিনয় করেন কলকাতার অরিন্দম শীল পরিচালিত আবর্ত সিনেমায়। একই বছর বাংলাদেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনীতে অভিনয় করেন। কলকাতার একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো, রাজকাহিনী, বিজয়া, বিসর্জন, ঈগলের চোখ, ক্রিসক্রসসহ প্রচুর ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং এখনো করছেন। এর জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন ওপার বাংলায়।

 

চঞ্চল

চঞ্চল চৌধুরী

নাটকের মানুষ চঞ্চল চৌধুরী এখন সিনেমার পর্দায়ই ভীষণ ব্যস্ত। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো- রূপকথার গল্প, মনপুরা, টেলিভিশন, আয়নাবাজি, হাওয়া। ওপার বাংলায় মৃণাল সেনের বায়োপিকেও অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি।

 

আফরান নিশো

আফরান নিশো। টিভি পর্দায় ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি।। ২০০৬ থেকে প্রায় ১৮ বছরে নিশোর টিভি নাটক, ওয়েব সিরিজ, টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিক নাটকের সংখ্যা ৮০০-এরও বেশি।

গত বছর রায়হান রাফি তাকে নায়ক করে নির্মাণ করলেন সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’। ছবিটি দর্শকপ্রিয়তা পায়। সঙ্গে প্রশংসিত হয় নিশোর অভিনয়।

 

তিশা

তিশা

নুসরাত ইমরোজ তিশা। টিভি নাটকের মাধ্যমে তিনি তার অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং প্রশংসিত হন। পরে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করে সেখানেও সফল হন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, টেলিভিশন, অস্তিত্ব, ডুব, মেন্টাল, হালদা প্রভৃতি। অস্তিত্ব চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

 

বাঁধন

বাঁধন

আজমেরী হক বাঁধন, ২০০৬ সাল থেকে ছোট পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত রেহানা মরিয়ম নূর (২০২১) চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং তার অভিনয় সমাদৃত হয়। বাঁধন অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো, নিঝুম অরণ্যে, গুটি, রেহানা মরিয়ম নূর, হিন্দি সিনেমা ‘খুফিয়া’। এখনো তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।

 

সিয়াম

টিভি নাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করা সিয়ামের চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে ২০১৭ সালে ব্যবসাসফল ‘পোড়ামন ২’ ছবি দিয়ে। একই বছর তার অভিনীত ‘দহন’ ছবিটিও ব্যবসাসফল হয়। তিনি ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবিতে অভিনয় করেন। ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সিয়াম ২০১২ সাল থেকে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করছেন।

 

মোশাররফ করিম

মোশাররফ করিম। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি টিভি নাটক, টেলিফিল্ম, ওয়েব সিরিজ ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন।

‘জয়যাত্রা’ মোশাররফ করিম অভিনীত প্রথম সিনেমা। রূপকথার গল্প, দারুচিনি দ্বীপ, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, প্রজাপতি, টেলিভিশন, জালালের গল্প, অজ্ঞাতনামা, হালদা, কমলা রকেট, ডিকশনারি, মুখোশ, দাগ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শক প্রশংসা কুড়ান তিনি।

 

জাহিদ হাসান

জাহিদ হাসান। ১৯৮৬ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘বলবান’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনয় জগতে পা রাখেন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে নাটকে অভিনয় শুরু করেন। ‘জীবন যেমন’ তার প্রথম টিভি নাটক। তার অভিনীত টিভি নাটকের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। জাহিদ হাসানের সিনেমা জীবন গড়ে দিয়েছেন প্রয়াত চিত্র পরিচালক, নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিতে অভিনয় করেন। এ ছাড়া মেড ইন বাংলাদেশ, ঝন্টু মন্টু, আমার আছে জল, প্রজাপতি, সাপলুডু, মাফিয়া, ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

 

মাহফুজ আহমেদ

মাহফুজ আহমেদ। নব্বই দশকের শুরুতে হুমায়ূন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটক দিয়ে ছোট পর্দায় তার অভিনয় শুরু। সিনেমায় অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। প্রহেলিকা, শ্রাবণ মেঘের দিন, ভালোবাসি তোমাকে, আমার প্রেম আমার অহংকার, আজ গায়ে হলুদ, দুই দুয়ারী, কেন ভালোবাসলাম, মরণ নিয়ে খেলা, মেঘের পরে মেঘ, জয়যাত্রা, লাল সবুজ, চার সতীনের ঘর, বাঙলা, কপাল, জিরো ডিগ্রি ও সাদাকালো সিনেমায় অভিনয় করে দর্শক নজর কাড়েন তিনি।

 

জাকিয়া বারী মম

জাকিয়া বারী মম

মম ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় জয়লাভের পর হুমায়ূন আহমেদ রচিত ও তৌকীর আহমেদ পরিচালিত দারুচিনি দ্বীপ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি নাটকে অভিনয় করা শুরু করেন। ছুঁয়ে দিলে মন, আলতা বানু, দহন, স্বপ্নের ঘরসহ বেশকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন।

 

বিপাশা হায়াত

বিপাশা হায়াত নব্বই দশকে টিভি নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয় হন। তিনি দুটি মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন- আগুনের পরশমণি ও জয়যাত্রা।

 

তৌকীর আহমেদ

তৌকীর আহমেদ আশির দশক থেকেই ছোট পর্দার নাটকে অভিনয় করছেন। পরে নাটক ও চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই তিনি সমান সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তার পরিচালিত সিনেমাগুলো : জয়যাত্রা, রূপকথার গল্প, দারুচিনি দ্বীপ, অজ্ঞাতনামা, হালদা, ফাগুন হাওয়ায়, স্ফুলিঙ্গ। তার অভিনীত সিনেমাগুলো হচ্ছে- নদীর নাম মধুমতী, চিত্রা নদীর পারে, লালসালু, রূপকথার গল্প, প্রিয়তমেষু, ফিরে এসো বেহুলা, একই বৃত্তে, জালালের গল্প, প্রার্থনা এবং আগস্ট ১৯৭৫।

 

ফজলুর রহমান বাবু

ফজলুর রহমান বাবু ইতোমধ্যে ২ হাজারের বেশি টিভি নাটক, টেলিফিল্ম, ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমার নাম শঙ্খনাদ, ২০০৪ সালে নির্মিত হয়। এরপর না বলো না, ‘আহা’, দারুচিনি দ্বীপ, স্বপ্ন ডানা, মনপুরা, অজ্ঞাতনামা, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, স্বপ্নজাল, ফাগুন হাওয়ায়, বিশ্বসুন্দরী, মিশন এক্সট্রিম, দুই দিনের দুনিয়া সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

 

আরিফিন শুভ

আরিফিন শুভ। ২০০৭ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘হ্যাঁ-না’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ২০১০ সালে ‘জাগো’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। এরপর পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী, অগ্নি, ‘মন বোঝে না’, ‘তারকাঁটা’, ‘কিস্তিমাত’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘অস্তিত্ব’, ‘নিয়তি’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘ধ্যাততেরেকি’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি ‘মুজিব’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

 

 

 

সর্বশেষ খবর