মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
বিশেষ সাক্ষাৎকার

ভালো স্ক্রিপ্ট না এলে অভিনয় করতে আগ্রহী না

ভালো স্ক্রিপ্ট না এলে অভিনয় করতে আগ্রহী না

রুচিশীল অভিনয় আর মিষ্টি হাসিতে কয়েক প্রজন্মের ভালোবাসা অর্জন করা একুশে পদকপ্রাপ্ত ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। একাধারে অভিনেত্রী, প্রযোজক আবার রাজনীতিবিদ। আশির দশকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন; পরবর্তীতে রুপালি পর্দায়ও অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। তার সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন?

এই মুহূর্তে ভালো আছি।

 

সবাই চান আপনি সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল থাকুন, এমন তারুণ্য দীপ্তিময় থাকুন...

থ্যাঙ্ক ইউ। অশেষ ধন্যবাদ সবাইকে।

 

বদরুল আনাম সৌদের ‘শ্যামা কাব্য’ আপনার প্রযোজিত সিনেমা। সিনেমাটি সব শ্রেণির দর্শকের দেখার জন্য সামনে কী পরিকল্পনা করেছেন?

আমরা তো আমাদের চেষ্টা করেই যাচ্ছি। বাট হলের সংখ্যা কম এখন। এক ধরনের সমস্যা তো থাকেই। তারপরও দেখা যাক কী হয়। আমরা নেক্সট উইক থেকে হয়তোবা সিঙ্গেল স্ক্রিন চিন্তা করব। ডেফিনেটলি ওটিটি চিন্তা করতে হবে। যে ক’জন মানুষই দেখুক। ভালো ছবি বানিয়েছি, এটাই একটা বড় ব্যাপার।

 

ছবিটির লোকেশন, চরিত্রায়ণ, কস্টিউমেও বৈচিত্র্যতা চোখে পড়েছে। নির্মাণের আগের প্রস্তুতিটা কেমন ছিল?

নীলা ছাড়া প্রত্যেকেই প্রায় অলমোস্ট সিক্স মান্থ গ্লুমিংয়ে ছিল। মহড়া তো করতে হয়েছে। নীলা ছাড়া সবারই একটা গ্লুমিং প্রিরিয়ড গেছে। তো নীলা যেহেতু একদম শেষে এসে জয়েন করেছে, তারপরও নীলার যে সুবিধাটা ছিল ওর মোটামুটি অ্যাকটিং ক্যারিয়ারের ৯০ পার্সেন্টই আমাদের সঙ্গে। তো গহীন বালুচর থেকে শুরু করে মাঝখানে দু-একটা টিভি নাটক। সব মিলিয়ে ওর গ্লুমিংটা আমার এবং সৌদের সঙ্গে হওয়ার কারণে ও শুটিংয়ে গিয়ে খুব একটা বিপদে পড়েনি। কারণ এমনিতেই সে একজন গুড অ্যাকটর, স্ক্রিপ্টের সঙ্গেও পরিচয় ছিল ওর। সব কিছু মিলিয়ে অন্য যারা রিহার্সেল করা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটি সে করেছে।

 

‘শ্যামা কাব্য’তে অভিনয় না করলেও ভয়েজ দিয়েছেন একজনের চরিত্রে। অভিনয় কেন কম করা হচ্ছে এখন?

অভিনয় কম করছি, কারণ আমার কাছে ভালো স্ক্রিপ্ট না এলে আমি অভিনয় করতে আগ্রহী না। আমি অনেক নাটক করেছি এবং এত চমৎকার চমৎকার সব কাজ আছে। সিঙ্গেল বলি বা হোয়াটএভার। তো সেগুলো তো ক্রস করার দরকার নেই, অন্তত কাছাকাছি তো কিছু স্ক্রিপ্ট আসতে হবে না? তা না হলে এখন আর কাজ কেন!

 

‘শ্যামা কাব্য’ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চান?

আমি ধন্যবাদ দিতে চাচ্ছি যে, এত নিখুঁতভাবে এ ধরনের একটি গল্প উপস্থাপন করার জন্য এবং সব অভিনয়শিল্পী, তাদের প্রত্যেকের কাজ, চরিত্র এত চমৎকার করে ফুটিয়ে তোলার জন্য। ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে, পুরো ছবিটা প্রপার কালার, সাউন্ড দিয়ে আমি শুক্রবার প্রথম দেখলাম। এর আগে দেখা হয়েছে। কখনো মনিটরে, কখনো টিভিতে, কখনো বাজে প্রজেকশনে। বাট সে দিন যমুনায় ছবিটি ভীষণ ইনজয় করেছি। আমি স্লাইটলি ইমোশনাল হওয়ারই কথা। আমি জানি যে, এ ছবি দিয়ে আমি বা সৌদ কেউ মিলিয়নিয়ার হতে যাচ্ছি না। গাড়ি-বাড়ি, কোটি টাকা হবে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত, আমরা একটি অত্যন্ত ভালো ছবি বানিয়েছি। এই ছবিটি যেন দর্শক দেখে। আমার বিশ্বাস, আমাদের টোটাল কমিউনিটির মধ্যে বেস্ট পিপল আর দ্য অ্যাক্টরস। দুজন মানুষের কথা বলব, একজন সোহেল মন্ডল, অন্যজন নীলাঞ্জনা নীলা। এখন পর্যন্ত তাদের শ্রেষ্ঠ কাজ শ্যামা কাব্য। তারা চমৎকার অভিনয় করেছেন। আরেকজনের কথা বলতে হচ্ছে, তিনি পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। তিনি ছিলেন বটবৃক্ষের মতো। অনেক কিছু শিখেছি এই ছবি নির্মাণের সময়। মানুষ কীভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। মানুষ কীভাবে সহযোগিতা করে, কীভাবে অসহযোগিতাও করে। কিন্তু মন্দের কথা আজ নয়, আজ শুধুই ভালোর কথা।

 

আফজাল-সুবর্ণা বা নূর-সুবর্ণা জুটি ছিল দর্শক নন্দিত। রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে ‘ঘুড্ডি’তে ছিলেন অনবদ্য। এই সিনেমা নিয়ে একটু স্মৃতি রোমন্থন করা যাবে কি?

এখন না। এখন আমি বাইরে যাব। অন্য কোনো সময় বলব।

সর্বশেষ খবর