বাংলাদেশের প্রথম ইউটিউবভিত্তিক মিউজিশিয়ান জেফার রহমান। সংগীতশিল্পী হিসেবে সুপরিচিত হলেও মডেল-অভিনয়ে নাম লিখিয়ে আলোচনায় রয়েছেন জেফার রহমান। ঝুমকা খ্যাত এ গায়িকা নায়িকা হয়ে রয়েছেন ভক্তদের জনপ্রিয়তার কাতারে। তার সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

‘ওকেব্রো রেকর্ডস’-এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে গানটি। গানটির প্রযোজক ফুয়াদ আল মুক্তাদীর। গানে র‌্যাপ পার্টে গেয়েছেন মার্কিন শিল্পী হ্যাজেল রোজ। ফুয়াদ আল মুক্তাদীরের গাওয়া বাংলা গানের একটি অংশও রয়েছে এতে। গানটির দৃশ্য ধারণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে। আসলে অনেক দিন পর ইংলিশ গান করেছি। এ কারণে গানটি আমার কাছে বিশেষ কিছু। গান ও ভিডিও বেশ যত্ন নিয়ে করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এটি মনমতো হয়েছে। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।

জেফারের অভিনয়ে সবাই কি মুগ্ধ?

মনোগামীতে অভিনয়টা নিয়ে সবাই আমাকে অনেক এপ্রিসিয়েট করেছে। এটা খুবই সারপ্রাইজিং। কারণ আমি তো আগে অভিনয় করিনি। তবে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। মানুষ আসলে ভেবেছিল, জেফার তো গান করে, ও আর কি অ্যাকটিং করবে! যেহেতু মানুষের আশা কম ছিল কিন্তু ভালো করেছি বলে প্রশংসা বেশি পাচ্ছি। সামনে আরও কাজ করব। তবে চিন্তা করে।

অভিনয়ে নিয়মিত হতে চান না কেন?

আমি গানের মানুষ। সেই সূত্রে মিউজিক ভিডিওতে পারফর্ম করি, সেটা ভিন্ন বিষয়; কিন্তু কোনো চরিত্র নিজের মধ্যে ধারণ করে অভিনয় করার কথা আদৌ ভাবিনি। এরপরও ফারুকী ভাইয়ের প্রস্তাবটা আমাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছিল। তবে অভিনয়ে নিয়মিত হতে চাই না। গানটাই আমার কাছে মুখ্য। আপাতত ভালো স্ক্রিপ্ট ও থিম ছাড়া অভিনয় করতে চাই না। ভালো কাজের অপেক্ষায় আছি।

জীবনে কতগুলো প্রেমের প্রপোজাল পেয়েছেন?

আমার কাছে প্রপোজাল কম আসে। কারণ আমাকে দেখলে বোঝা যায় যে আমি কতখানি ভয়ংকর। মনোগামী যারা দেখেছেন তারা বুঝেছেন যে বয়সের কোনো ব্যাপার নাই।

জেফারের পছন্দের পাত্র হওয়ার যোগ্যতা কী?

এটা তো মনে হচ্ছে আমি এক ভাবীদের আসরে বসেছি যে ছেলে কেমন হবে, কী হবে। অনেস্টলি মেন্টালিটিটাই বড় বিষয়। মেন্টালিটি মিললে বাকি সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।

নতুন কাজ প্রস্তুত আছে?

সামনে অনেকগুলো ধামাকা রেডি। আমার ভিডিওস শুট করা শেষ, এবার এক এক করে রিলিজ হবে। ফিল্মটার জন্য ওয়েট করছিলাম, সেটাও তো রিলিজ হয়ে গেল। সো, এখন আবার গান দিয়ে ব্যাক করতেছি। অনেকগুলো গান রেডি রয়েছে।

জেফারের চুল কি আগের মতো দেখা যাবে না?

ওই লুকটা কিন্তু আমার এখনো এক্সিট করে। ওই লুকটা এখনো আছে। আমি যখন শো করতে যাই তখন কিন্তু আমি ওই লুকটাতেই যাই। কারণ, এজ অ্যান আর্টিস্ট বা এজ অ্যান মিউজিশিয়ান, আমি ওইটাই আসলে। আর এই স্টেইট কাট চুলের লুকটা তো কিছু মাস ধরেই চলছে। মানুষ পছন্দ করছে। আমিও কমফোরটেবল। তো, দুইটা হেয়ার স্টাইলই ডিপেন্ড করছে শো আর ইভেন্টের ওপর।

নিজেকে বিশ্লেষণ করলে...

আমি খুবই স্টেইট ফরোয়ার্ড, অনেস্ট এবং কাজের প্রতি খুবই সিনসিয়ার-অনেস্ট একজন মানুষ। আমি ওভাবেই থাকতে চাই। ইন্ডাস্ট্রিকে আমার অনেক কিছু দেওয়ার ইচ্ছা। সেটা মিউজিক্যালি বা অভিনয়ের ক্ষেত্রে যদি বলি।