প্রত্যেক মানুষেরই কিছু অভ্যাস বা মুদ্রাদোষ থাকে; তারকাদেরও এমন কিছু অভ্যাস বা মুদ্রাদোষ রয়েছে, যা তারা চাইলেও লুকাতে পারেন না। বলিউড তারকাদের এমন কিছু মুদ্রাদোষের কথা জানাচ্ছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ
অমিতাভের দুই ঘড়ি
বিদেশযাত্রার সময় অমিতাভ দুই হাতে দুটি ঘড়ি পরেন। একটিতে নিজ দেশের সময় অন্যটিতে যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশের সময় দেখেন তিনি।
জুতা পরে ঘুমান শাহরুখ
শাহরুখ খান সব সময় ফিটফাট থাকতে পছন্দ করেন। চটি পরে প্রকাশ্যে একদমই আসেন না। পা থেকে জুতা কিছুতেই খুলতে চান না। এমনকি জুতা পরেই তিনি ঘুমান।
স্নান পছন্দ নয় আমিরের
আমির খান নিয়মিত স্নান করাও পছন্দ করেন না। কখনো দুই সপ্তাহেও একবার গোসল করেন না তিনি।
সানি লিওনের পা পরিষ্কার
সানি লিওন সব সময় নিজের পরিচর্যা করেন। তবে তার মুদ্রাদোষ হচ্ছে ঘন ঘন পা পরিষ্কার করা। প্রতি ২০ মিনিট অন্তর সুযোগ বুঝে পায়ের তলা এবং পা পুরোটা পরিষ্কার করেন।
প্রীতি জিনতার বাথরুম পরিষ্কার
যতই অন্য কেউ বাথরুম পরিষ্কার করে দিক না কেন, নিজে গিয়ে আবার সেটি পরিষ্কার করেন। প্রতিদিন এটা করা তার স্বভাব। শোনা যায়, এটা না করে স্নান করেন না নায়িকা।
কারিনার নখ কাটা
কারিনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায় তিনি দাঁত দিয়ে নখ কাটছেন। ম্যানিকিওর করা হাতে নেইল পলিশ পরা থাকলেও নিজে থেকেই তার মুখে আঙুল চলে যায়। পায়ের নখও দাঁত দিয়ে কাটেন তিনি। পারলে অন্যের নখও নাকি কামড়ে দেন তিনি।
অন্ধকারে ভয় আলিয়ার
আলিয়া ভাটের অন্ধকারভীতি রয়েছে এবং রাতে বাতি জ্বালিয়েই ঘুমান। উচ্চতাভীতিও রয়েছে তার। আর তাই তিনি একান্ত বিপদে না পড়লে বিমানে ভ্রমণ করেন না।
জন আব্রাহামের পা নাচানো
জন আব্রাহাম ভয়ংকর পা নাচাতে ভালোবাসেন। কারও সঙ্গে কথা বলাই হোক, চিত্রনাট্য পড়াই হোক বা কনসেনট্রেট করার প্রয়োজন পড়ুক, তিনি পা নাড়াতেই থাকেন। প্রচন্ড চিন্তা হলেও এভাবেই স্ট্রেস কাটান অভিনেতা।
দীপিকার মানুষকে বোঝা
দীপিকা পাড়ুকোন সবার ভাব-ভঙ্গি, কথা বলার ধরন লক্ষ্য করেন এবং তার থেকেই মানুষের উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করেন। এয়ারপোর্টে যেহেতু সব ধরনের মানুষকে পাওয়া যায় তাই সেখানেই তিনি এটা বেশি করেন।
শৌচাগারে খাবার খান জিতেন্দ্র
জিতেন্দ্র শৌচাগারে গিয়ে খাবার খান। তিনি শৌচাগারে গিয়ে ফল খেতে খুবই পছন্দ করেন। যখন শৌচাগারে যান, তখন সঙ্গে করে এক প্লেট পাকা পেঁপে নিয়ে যান। আর সেখানে বসে তিনি দিব্যি এক প্লেট পেঁপে সাবাড় করেন।
রানীর সিগারেটপ্রীতি
এই নায়িকার সকালই শুরু হয় সিগারেটের ধোঁয়ায়। সাধারণ মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখে তোলেন এক কাপ চা, আর রানী ঠোঁট ছোঁয়ান জ্বলন্ত সিগারেটের বাঁটে।
কুসংস্কারে বিশ্বাসী গোবিন্দ
গোবিন্দ কুসংস্কারে এতটাই আচ্ছন্ন যে, মইয়ের নিচ কখনই মাড়ান না তিনি। এই তারকার পথের সামনে দিয়ে কোনো বিড়াল গেলে সেদিন আর কোনো কাজে হাত দেন না।