‘দুষ্টু কোকিল ডাকেরে কুক কুক কু’... এই গানটি এখন রীতিমতো ভাইরাল। নতুন প্রজন্মের মুখে মুখে ফিরছে। ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘তুফান’ ছবির গান এটি। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন দিলশাদ নাহার কণা। এই গানের সাফল্যে তার অনুভূতি জানতে মুখোমুখি হয়েছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ
‘দুষ্টু কোকিল’ এখন দর্শক-শ্রোতার মুখে মুখে, কেমন লাগছে?
এমন ভালো লাগার কথা সব সময় বলে বোঝানো যায় না। সব জায়গায় আকাশছোঁয়া রেসপন্স। ফেসবুক, ইউটিউবে ভিউর ঝড়সহ সবার ঠোঁটে গানটি রীতিমতো তুফানের মতো ধেয়ে চলছে। গানটি ইউটিউবে প্রকাশের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৪০ লাখেরও বেশি ভিউ হয়েছে। এমন সাফল্যে নিজের কাজের প্রতি আমাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আশা করি আগামীতে শ্রোতাদের ভালো লাগা আমি অব্যাহত রাখতে পারব।
গানটি এতটা জনপ্রিয় হবে এটি কী প্রত্যাশা করেছিলেন?
হ্যাঁ, যখন গানটিতে কণ্ঠ দিই তখনই বুঝতে পেরেছিলাম এ গানটি দারুণ সাড়া জাগাবে। কারণ এর হুক লাইনটা খুব ক্যাচি। আরও যখন জানলাম এ গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলাবেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং সঙ্গে থাকবেন আমাদের নায়ক শাকিব খান তখনই বুঝে গেছি এ গান দর্শক-শ্রোতার মনে পছন্দের কাঁপন ধরাবে। আমার ধারণাই এখন দেখি সত্যি হলো।
এ গানটি জনপ্রিয় হওয়ার অন্তরালের কারণ কী বলে মনে হয়?
আসলে একটি গান জনপ্রিয় হওয়ার জন্য অবশ্যই এর কথাগুলো ক্যাচি হতে হবে। এ গানটির ক্ষেত্রে তা ছিল। তাছাড়া আকাশ সেনের মতো গানের প্রতি শতভাগ ডেডিকেটেড একজন সংগীতকারের সংগীতায়োজনে গানটি তৈরি হয়েছে, ফলে গানটি কাক্সিক্ষত সাফল্য পেয়ে গেছে এবং এ প্রাপ্তিটাই স্বাভাবিক ছিল।
গানটির সাফল্যের জন্য কার কৃতিত্ব বেশি মনে হয়?
এ সাফল্যের জন্য প্রথমেই আমি গানটির কথা ও সুরকে এগিয়ে রাখতে চাই। আসলে কথা ও সুর ভালো না হলে কোনো গানই সাফল্যের দেখা পেতে পারে না।
আইটেম গানেই আপনি বেশ জনপ্রিয়, কথাটা কী ঠিক?
হুম, অবশ্যই ঠিক, আমার মনে হয় আইটেম গান আমার জন্য লাকি। তবে সব ধরনের গানের জন্যই আমি শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছি। আমার হিট গানের তালিকায় ‘ধিন তানা ধিন’, ‘ওহে শ্যাম’, ‘শূন্য থেকে আসে প্রেম’, ‘দিল দিল দিল’, ‘রঙিলা রঙিলা’, ‘তুই কি আমার হবিরে’ এর মতো সব ঘরানার গানই আছে।
আগামীতে শ্রোতারা আপনার কাছ থেকে কী গান পাচ্ছে?
মিউজিক ভিডিও, সিনেমার ও নিজস্ব কিছু গান নিয়ে শ্রোতাদের মন কাড়তে শিগগিরই আবার আসছি।