রবিবার, ২১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

জটিলতায় নিজেকে কখনো জড়াই না

জটিলতায় নিজেকে কখনো জড়াই না

জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। মডেলিং ও নাটক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও বর্তমানে ওটিটি ফিল্ম ও সিনেমা নিয়ে বেশি ব্যস্ত। তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? সাম্প্রতিক সময়ের ব্যস্ততা নিয়ে বলুন।

জি, অনেক ভালো আছি। আর বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা আসলে ইলহামকে নিয়েই। এর চেয়ে বড় ব্যস্ততা আর কী হতে পারে! আর কিছু প্রজেক্ট নিয়ে কথা চলছে। তবে এখনো ব্যাটে-বলে মিলেনি। মিলে গেলে অবশ্যই সেসব প্রজেক্টে কাজ করব।

 

সন্তানকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?

এখনো কোনোকিছুরই পরিকল্পনা করিনি। ইলহাম যেভাবে যাচ্ছে, আমিও সেভাবে চলছি। ইলহামকে শুধু একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, বাকিটা ওর ইচ্ছা ও কী হতে চায়। ও ফিউচার কীভাবে সাজাবে সেটা ওর ডিসিশন।

 

ফারুকী-তিশার প্রেম, প্রেম থেকে পরিণয়ের গল্প শুনতে চাই।

এটা তো খুবই কমন একটা বিষয় যে, আমাদের গল্পটা সবাই জানে। তো আমি আর সরয়ার মনে করি যে স্টোরিটা একটু চেঞ্জ করা দরকার এখন, অন্য কিছু বলা উচিত...হাহাহা। তবে হ্যাঁ এটা খুবই সিম্পল স্টোরি। ২০০৪ থেকে আমাদের একসঙ্গে কাজ শুরু। ২০০৫-এ রিলেশন হলো এবং ২০১০-এ আমাদের বিয়ে-দ্যাটস ইট।

 

ফারুকীর কোন দিকটা আপনার পছন্দের?

ও প্রথমে একজন ডিরেক্টর, তারপর প্রযোজক, এরপর আর্টিস্ট। ওকে নিয়ে তো অনেক বিশেষণে বিশেষিত করা যায়। তবে ফারুকীর পুরো প্যাকেজটাকেই আমি পছন্দ করি। সে যখন যেই রূপ নেক না কেন সে আমার পার্টনার। আমি সব রূপেই তাঁকে পছন্দ করি। আর আমার নিজস্বতা যেটা রয়েছে মানে অভিনেত্রী-প্রযোজক, সে পরিচয়টা খুবই প্রিয়। তবে ফারুকীর ওয়াইফ আর ইলহামের মা-এ দুই পরিচয়টাও আমার কাছে খুবই ইমপর্টেন্ট।

 

পর্দার তিশা থেকে বাস্তবের তিশা...

আমি খুবই সিম্পল লাইফ লিড করি। খুবই সোজা রাস্তায় চলি। আর আমি কখনো ভিউয়ের বা ভাইরাল হওয়ার জন্য কোনোরকম উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলি না। কোনো জটিলতায় নিজেকে কখনো জড়াই না। আমি খুব বেশি সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকটিভও না, সবাই জানে। আমি কমিউনিকেশনে খুব অ্যাকটিভ না। আমার যখন কাজ আসে তখন আমি গুহা থেকে বের হয়ে ক্যাম্পেইন করি। কাজের সময়টাতে ক্যাম্পেইন করি, কাজ না থাকলে অফ। তখন আমাকে ফোনে, ইন্টারভিউতে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া সবার জন্য মুশকিল হয়ে যায়। এজন্য হয়তোবা আমাকে নিয়ে খুব বেশি আলোচনাও হয় না। তবে আমি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিতে চাই এ জন্য যে, আমার এত ফোন রিসিভ না করার অত্যাচার তারা সহ্য করে। তারপরও আমার কাজ আসে। তারা আমাকে সাপোর্ট করে।

 

তিশার এমন রূপের রহস্য কী?

কোকোনাট অয়েল...হা হা হা। আমি খুবই নারিকেল তেল ইউজ করি। আমি চুলে যেমন নারিকেল তেল দেই, মেকাপ তুলতেও তেমনি নারিকেল তেল দেই, স্ক্রিনেও নারিকেল তেল দেই। আই লাভ নারিকেল তেল। এটা আমার জন্য কমফোর্টেবল, আমাকে খুবই সুট করে। আমার কাছে মনে হয়, এটিই আমার এমর রূপের রহস্য মানে সর্বরূপের সমাধান।

 

শাকিব খানের সঙ্গে কমার্শিয়াল ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন। এরপর নিজের ট্রাক পরিবর্তন করে ভিন্নধারার ছবিতে অভিনয় করার কারণ?

শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ছবি করার পর বহু কমার্শিয়াল ফিল্মের অফারও এসেছিল। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে যে, কমার্শিয়াল ছবিতে অ্যাকটিং করার জায়গাটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না, যেটা আমার ব্যাসিক প্রবলেম ছিল। আমি সব সময় চেয়েছি ভালো গল্পে কাজ করতে। সো এরকম যদি ভালো গল্প আসে, যেটাতে ডিমান্ড করছে শাকিব ভাই, যেটাতে ডিমান্ড করছে আমাকে, ডিরেক্টর যদি ভালো হয় আর ডিরেক্টর যদি দুজনকে ভালোভাবে ইউটিলাইজ করতে পারে তবে অবশ্যই করব।

 

গান গাওয়া কি কনটিনিউ চলবে?

না। আর কখনোই তো কনটিনিউ করিনি। আসলে বাবা মারা যাওয়ার পরে গান গাওয়া কখনোই নিয়মিত করা হয়নি। ফারুকীর ‘সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফী’ সিনেমাতে মনে হলো একটু গাই। তাই গেয়েছি। দর্শকরা পছন্দও করেছে। আলহামদুলিল্লাহ! কিন্তু এটা নিয়ে কোনো ফিউচার প্ল্যান নেই।

 

নাটকে অভিনয় কি একেবারে ছেড়েই দিলেন?

টিভি নাটক তো করি না বহু বছর হয়ে গেল। ওটিটির কিছু কাজ নিয়েই মূলত ব্যস্ততা। সামনে টিভি নাটকে দেখতে পাবেন কি পাবেন না-সেটা জানি না। তবে ভবিষ্যতের কথা তো বলা যায় না।

সর্বশেষ খবর