শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট : উজ্জ্বল

বৈষম্যহীন সুন্দর দেশ দেখতে চাই

শোবিজ প্রতিবেদক

বৈষম্যহীন সুন্দর দেশ দেখতে চাই

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অভিনেতা উজ্জ্বল। সফল চলচ্চিত্র প্রযোজকও তিনি। এফডিসি, চলচ্চিত্র জগৎ ও রাজনীতি নিয়ে তাঁর বলা কথা এখানে তুলে ধরা হলো -

 

কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান?

বাংলাদেশে বিরাট বৈষম্য ছিল। সেই বৈষম্যের জন্যই ছাত্ররা আন্দোলন করল এবং সফল হলো। তরুণরা যেভাবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাইছে, আমিও তাই চাই। বৈষম্যহীন সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই।

 

নতুন সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?

আমরা ভাগ্যবান-একজন নোবেলজয়ীকে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে পেয়েছি। দুনিয়াব্যাপী তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। স্বৈরাচার বিদায় করে এত বড় বিপ্লব ঘটিয়েছে ছাত্ররা। তারপর নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তারা সংস্কার করবে। তারপর সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। নতুন সরকার নিয়ে আমি আশাবাদী, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে।

 

এফডিসির অবস্থা এখন কেমন

গত সরকার রাষ্ট্র যেভাবে ধ্বংস করেছে, এফডিসিও তার বাইরে নয়। দেশের শিল্প-সাহিত্যের সব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করে ধ্বংস করেছে। এফডিসি এখন চারণভূমি। এফডিসির ফ্লোরগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। অথচ ফ্লোরগুলো ঠিক রেখেই উন্নয়ন করা সম্ভব ছিল। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক দলীয়করণ হয়েছে।

 

সরকারি অনুদান নিয়ে কী বলবেন?

এখানেও দলীয়করণ হয়েছে। অনুদান সব সময় যোগ্য লোক পায়নি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সিনেমা করেছে। কেন? এতে করে জনগণের টাকা নষ্ট হয়েছে।

 

দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে আজীবন সম্মাননা কিংবা একুশে পদক দেওয়া হয়নি আপনাকে

অনুদান, সেন্সরবোর্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার সবখানে দলীয়করণ হয়েছে। অথচ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তন করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

 

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে কী বলবেন?

সম্ভবত ১৯৭৮ সাল। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট তখন জিয়াউর রহমান সাহেব। সেই সময় তিনি একদিন এফডিসিতে এলেন। সেদিনই তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে যান। এ ছাড়া, দুস্থ শিল্পীদের জন্য, অনুদানের জন্যও ঘোষণা দেন। কিন্তু গত সরকার তা মনে রাখেনি। একটিবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সময় তার নাম নেওয়া হয়নি। এটা দুঃখজনক।

 

অভিনয়ে কখন ফিরছেন?

আসলে আমাদের সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোনো মুখ্য চরিত্র লিখা হয় না। এতে অভিনয়ের তেমন কোনো সুযোগ থাকে না। এ অবস্থায় সিনিয়রদের অভিনয় করার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে এবং দর্শক তা দেখছে। আমার বিশ্বাস বর্তমান সময়ে নির্মাতারা সিনিয়র শিল্পীদের মূল্যায়ন করে তাদের জন্য চরিত্র তৈরি করবেন। এবং এতেই সিনিয়রা আবার উৎসাহ নিয়ে অভিনয়ে ফিরে আসবে।

 

সর্বশেষ খবর