বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৩ ০০:০০ টা

আন্দোলন দমনে নতুন অস্ত্র

আন্দোলন দমনে নতুন অস্ত্র
বিরোধী দলের রাজপথের আন্দোলন দমনসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশকে সাজানো হয়েছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে। নতুন সংযোজন করা বিভিন্ন ধরনের গ্যাস স্প্রে ব্যবহার করে সুফলও পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই গ্যাস ব্যবহার নিয়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের অস্ত্র ভাণ্ডারে এখন রয়েছে পিপার গ্যাস স্প্রে, টিয়ার গ্যাস স্প্রে, গ্যাস গ্রেনেড, কালার স্মোক গ্যাস গ্রেনেড, সাউন্ড হ্যান্ড গ্রেনেড, আর্মড পারসোনাল কার (এপিসি) এবং যোগ হচ্ছে অত্যাধুনিক মেশিনগান, স্নাইপার রাইফেল, নেট গান, ট্রাংকুলাইজার গান ও ফ্ল্যাশ ব্যাং। পুলিশের নীতিমালায় এসব অস্ত্রের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও আনা হচ্ছে মাল্টিপল গ্যাস গ্রেনেড লাঞ্চার ও অ্যাকুস্টিক ক্রাউড কন্ট্রোল ডিভাইস। উন্নত বিশ্বের তৈরি ব্যয়বহুল এই সরঞ্জাম পুলিশ নিয়মিত অপারেশনাল সরঞ্জাম হিসেবে আমদানি করলেও বিরোধী দল মনে করছে, আন্দোলন দমন করতেই এত আয়োজন। একই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব সরঞ্জাম এখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপিতে) ব্যবহৃত হচ্ছে। এর আগে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে (এসএমপিতে) ব্যবহার হয়েছিল। তবে পুলিশের অধিকাংশ সদস্যই নতুন গ্যাস ও স্প্রের সঠিক ব্যবহার জানেন না। তারা এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কেও অবগত নন। সম্প্রতি ব্যাপকহারে এই সরঞ্জামের ব্যবহার নিয়ে দেশের বিশেষজ্ঞরা যেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তেমনি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব সরঞ্জাম ব্যবহারে আন্দোলন দমনে নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নিয়েছে পুলিশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এগুলো ব্যবহারে বিধি-নিষেধ রয়েছে। অনেক দেশে ব্যবহারের ফলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, পুলিশের হাতে এখন কয়েক ধরনের বিস্ফোরক সরঞ্জাম। সভা-সমাবেশ-মিছিল পণ্ড ও ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টিকারীদের মধ্যে ভীতি ছড়াতেই এগুলো ব্যবহার করা হয়। অথচ গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর এসব ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে তারা মারাত্দকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাম দলগুলোর আধাবেলা হরতাল চলাকালে গতকাল কর্মীদের ওপর ক্ষতিকর এ গ্যাস ব্যবহার করা হয়। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, ২০১২ সালের শেষ দিকে কোরিয়া থেকে ৫ হাজার কালার স্মোক গ্যাস গ্রেনেড ও ৫ হাজার গ্যাস গ্রেনেড আনা হয়। এক বছর আগে চীন থেকে আনা হয় এক হাজার সাউন্ড হ্যান্ড গ্রেনেড। এ ছাড়া আনা হয়েছে পিপার গ্যাস স্প্রে। ডিএমপির ব্যবহারের জন্য আনা এক হাজার সাউন্ড হ্যান্ড গ্রেনেডের প্রতিটির মূল্য পড়েছে ১৬ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ১৩শ টাকা। কালার স্মোক গ্যাস গ্রেনেড ও গ্যাস গ্রেনেডের প্রতিটির মূল্য পড়েছে ১৬ থেকে ১৭ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে ১৩শ থেকে সাড়ে ১৪শ টাকা। সূত্র জানায়, পুলিশের জন্য আনা চার ধরনের বিস্ফোরক সরঞ্জাম দেশের সব মেট্রোপলিটন এলাকায় ব্যবহারের জন্য পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে পরিস্থিতি বুঝে দাঙ্গাপ্রবণ এলাকাগুলোতেও সরবরাহ করা হবে। এ জন্য পর্যাপ্তভাবে আমদানি করা হয়েছে। এসব সরঞ্জাম দেশীয় এজেন্টের মাধ্যমে পলিটেকনোলজি চীন, কনটেক কোরিয়া, কনডোর ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের নন লেথাল টেকনোলজি নামের কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করা হয়। পুলিশের অস্ত্রের নীতিমালায় স্প্রে, গ্যাস ও অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়গুলো নতুন করে সংযুক্তি করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, 'পিপার গ্যাস স্প্রে করার পর এর ঝাঁজ মরিচের গুঁড়ার মতো উপাদান শরীরের যে স্থানে লাগবে, সে স্থানটা জ্বালা-পোড়া করবে। এটি শরীরের এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চোখে পড়লে কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝাপসা দৃষ্টি তৈরি হতে পারে। একই সঙ্গে ত্বকেরও ক্ষতি হবে।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর গতকাল বলেছেন, পিপার গ্যাস স্প্রেতে মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই। বেআইনি সমাবেশে বল প্রয়োগ করা যাবে বলে আইন আছে। আমরা অস্ত্রের ব্যবহার সীমিত করে পিপার গ্যাস স্প্রে ব্যবহার করছি। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, 'সরকারবিরোধী মতের কণ্ঠরোধ করতে মরিচের গুঁড়া মিশ্রিত স্প্রে নিক্ষেপ করার নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। এ ধরনের আচরণ গণতন্ত্রকে লণ্ডভণ্ড করার শামিল। যে কোনো সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার জনগণের রয়েছে। কিন্তু তাদের দমন কৌশলে স্প্রে করা স্বৈরাচারী মনোভাব। আমরা এ ধরনের দমন কৌশলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, 'আন্দোলনকারীদের দমন করতে নতুন নতুন হাতিয়ার বা তরল গ্যাস ব্যবহার করছে পুলিশ। এটি কারও কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই তরল গ্যাসের ব্যবহার নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে তরল গ্যাসের ব্যবহার বাংলাদেশের সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্গন। এর মধ্যদিয়ে সরকার আরও একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করেছে।' বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'পিপার স্প্রে মানবতাবিরোধী। এই স্প্রে ব্যবহার করা আন্তর্জাতিকভাবে নিষেধ হয়ে গেছে। পশ্চিমারা সহযোগিতার নামে তাদের দেশে ব্যবহারের অনুপযোগী অস্ত্র আমাদের দেশে পাঠায়। সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী হয়তো বলবেন, এনালগ অস্ত্র ছেড়ে, ডিজিটাল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু সরকার অন্য কোনো জায়গায় ডিজিটাল করতে পারেনি।' তিনি বলেন, 'নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শান্তিপূর্ণ হরতালকারীদের ওপর পিপার স্প্রে করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।' আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) : ২০১০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তুরস্কের তৈরি ১৭টি আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) আনা হয়। অত্যাধুনিক এই এপিসি যে কোনো গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করতে পারে। এই যানের ভেতর থেকে কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। চারদিক দিয়ে কাঁদুনে গ্যাস ছাড়াও শর্টগানের গুলিও ছোড়া যাবে। এ ছাড়াও এটিতে রয়েছে দুটি মেশিনগান। কাছাকাছি দূরত্ব থেকে মর্টার দিয়ে আঘাত করলেই শুধু এই যানের ক্ষতি করা সম্ভব। এ ছাড়াও পিকেটিং বা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রয়েছে রায়ট কন্ট্রোল কার (আরসিসি) ও জলকামান। পিপার গ্যাস স্প্রে : এটি হচ্ছে মরিচের ঝাঁজযুক্ত এক প্রকার তরল গ্যাস। এটি ক্যানিস্টার (বোতল) ভর্তি থাকে। প্রয়োজনের সময় স্প্রে (ছিটানো) করা হয়। টিয়ার শেলের (কাঁদুনো গ্যাস) পরিবর্তে এটি আমদানি করেছে পুলিশ। পিপার স্প্রে আমদানি করা হয় কোরিয়া থেকে। কনটেক-কোরিয়া বাংলাদেশ পুলিশকে পাঁচ হাজার বোতল পিপার গ্যাস স্প্রে সরবরাহ করেছে। সম্প্রতি এটি শিক্ষকদের আন্দোলন দমানোর কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় দেশ ও দেশের বাইরে সমালোচনা ও ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী, এটি ভয়ঙ্কর জীবজন্তু অথবা 'পাগল কুকুর', ভাল্লুকের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। সাউন্ড হ্যান্ড গ্রেনেড : এটি এক ধরনের হাতে ব্যবহার উপযোগী গ্রেনেড। চীনের তৈরি এক হাজার সাউন্ড হ্যান্ড গ্রেনেড এনেছে পুলিশ। হাই গ্লস সফটওয়্যার কোম্পানির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যায়, তাৎক্ষণিকভাবে সংঘবদ্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিকট শব্দে এটি বিস্ফোরিত হয়ে জনতার মাঝে ভীতির সঞ্চার করবে। ফলে জনতা দিগ্বিদিক পালাবে। তাছাড়া ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জনতা মাটিতে লুটিয়ে পড়বে। এটি বহন করা সহজ। একটি মাত্র পিনের মাধ্যমে ছোড়া গ্রেনেডটি ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরিত হবে। কালার স্মোক গ্যাস গ্রেনেড : কালার স্মোক গ্যাস গ্রেনেড হচ্ছে রঙিন গ্যাস গ্রেনেড যেটির বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে। রঙিন ধোঁয়াশার মধ্যে পড়ে মানুষ শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেগ পাবে। ফলে তারা পালাবার পথ খুঁজবে। আমেরিকার নন লেথাল টেকনোলজিস এটির উৎপাদনকারী। দুই মাস আগে এই গ্রেনেড আমদানি করে পুলিশ। পুলিশের হাতে এখন পাঁচ হাজার কালার স্মোক গ্যাস গ্রেনেড রয়েছে। নন লেথাল টেকনোলজির ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, কালার স্মোক গ্যাস গ্রেনেড রয়েছে ৬ রঙের। লাল, সবুজ, নীল, বেগুনি, কমলা ও হলুদ। এমপি-টুএস সিরিজের এ গ্রেনেড মূলত মার্কিন সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। টিয়ার গ্যাস স্প্রে : এ গ্যাস ব্যবহারের পর চোখে, নাকে, মুখে ঝাঁজ লাগবে। এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তি দৌড়ে পালাবে। তরল কাঁদুনে গ্যাস গত বছরের শেষ দিকে পুলিশ চীন থেকে আমদানি করে। এই টিয়ার গ্যাস স্প্রে সর্বপ্রথম রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে খতমে নবুওয়াতের সমাবেশে ব্যবহার করা হয়। সেদিন অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকদিন ধরে চলা শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচিতে এ গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলেছে, স্প্রে করে ছিটানোর উপযোগী গ্যাসের মূল উপাদান ক্লোরিপিক্রিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। আরও যা আসছে : আরও আসছে মাল্টিপল গ্যাস গ্রেনেড লাঞ্চার ও অ্যাকুস্টিক ক্রাউড কন্ট্রোল ডিভাইস। মাল্টিপল গ্যাস গ্রেনেড লাঞ্চার থেকে একসঙ্গে ৩০টি শেল বের হবে। এমনকি শব্দের মাধ্যমে যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সংঘাত মোকাবিলায় অ্যাকুস্টিক ক্রাউড কন্ট্রোল ডিভাইস নামে একটি বিশেষ যন্ত্র আনা হচ্ছে। ওই যন্ত্রের শব্দ বিশেষভাবে 'নিক্ষেপ' করা হবে। এর পর শব্দের তীব্রতায় সমাবেশস্থলে কেউ নিরুদ্বেগভাবে বসে থাকতে পারবে না। তবে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট স্থানে নিক্ষেপ করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ শব্দের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাবেন। নীতিমালায় অত্যাধুনিক অস্ত্র : পুলিশের নতুন অস্ত্রের নীতিমালায় দেখা যায়, বর্তমানে ৯ ও ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার ক্যালিবারের পিস্তল ব্যবহার করছেন এসআই থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রস্তাবিত নীতিমালায় ৯, ৪ পয়েন্ট ৬ মিলিমিটার, ০ পয়েন্ট ৪৫, ০ পয়েন্ট ৪০ ইঞ্চির ক্যালিবারের পিস্তল ব্যবহারের কথা বলা হয়। প্রস্তাবিত নীতিমালায় নায়েক, হেড কনস্টেবল, এএসআই ও তদূর্ধ্ব পুলিশ কর্মকর্তারা ওই অস্ত্র ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া নতুন নীতিমালায় পুলিশে সাব মেশিনগান যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। সাধারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদস্যদের ৪০ শতাংশ ও বিশেষ ইউনিট প্রধানের অনুমতি নিয়ে ১০০ শতাংশ সদস্য সাব মেশিনগান ব্যবহার করতে পারবেন। স্নাইপার রাইফেল, সিঙ্গেল গ্যাস লাঞ্চার, মাল্টিপল গ্যাস লাঞ্চার, গ্যাস গ্রেনেড, মাল্টিপল গ্যাস গ্রেনেড, ট্রেসার গান ব্যবহারের কথাও বলা রয়েছে। কনস্টেবল থেকে তদূর্ধ্ব পুলিশ কর্মকর্তারা এসব অস্ত্র ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া আরও কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র যুক্ত করার ব্যাপারে নতুন অস্ত্র নীতিমালায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা হলো নেট গান, ট্রাংকুলাইজার গান, ফ্ল্যাশ ব্যাং, সাউন্ড গ্রেনেড, স্মোক গ্রেনেড প্রভৃতি।

সর্বশেষ খবর