বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৩ ০০:০০ টা
কুমিল্লা

গুলিতে শিশু, গণপিটুনিতে পাঁচ ডাকাত নিহত

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় গুলিতে এক শিশুর মৃত্যু ও ১০ জন আহত হওয়ার পর গণপিটুনিতে পাঁচ 'ডাকাত' নিহত হয়েছে। তারা প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে সরসপুর ইউনিয়নের ভাউপুর গ্রামে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবদুল মালেক মানিকের বাড়িতে ১০-১২ জন ডাকাত হানা দেয়। তারা ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে গুলি ও কুপিয়ে আহত করে। এরপর পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চার হাজার ইউএস ডলারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির লোকজনের চিৎকার ও মসজিদের মাইকে প্রচার করা হলে গ্রামবাসী তাদের পিছু নেয়। ডাকাতরা ছত্রভঙ্গ হয়ে একটি দল পাশের পাচরুই গ্রামের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে সেখানেও বাধার মুখে পড়ে। তাদের গুলিতে এ সময় ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মাদ্রাসাছাত্র আরিফ হোসেনের (১২) মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দেলোয়ার, আরমান, হাসানসহ অন্তত ১০ জন। ডাকাতরা পাচরুই থেকে লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের বাতাবাড়িয়া গ্রামে পেঁৗছালে বিক্ষুব্ধ জনতা তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। অন্যদিকে, পাশের কেয়ারী গ্রামে দুই ডাকাতকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই এ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) কামরুল ইসলাম গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, 'গ্রামবাসীর পিটুনিতে ডাকাতরা মারা গেছে। ধারণা করা যাচ্ছে, এরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। এ ঘটনায় স্থানীয় কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ বাতাবাড়িয়া গ্রামে লুকিয়ে থাকা ডাকাত সর্দার মোসলেহউদ্দিন মামুনকে গ্রেফতার করেছে। তবে তাকে থানায় নিয়ে আসার পথে গ্রামবাসী বাধা দেয়। তারা গাছ ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সর্বশেষ খবর