সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

জয়ের বক্তব্য সমর্থন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আগামী সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল নিয়ে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য সমর্থন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একটি মতামত জরিপে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে। আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। শেখ হাসিনা আরও জানান, ওই জরিপ অনুযায়ী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভালো করবে। ক্ষমতায়ও আবার আওয়ামী লীগ আসবে। গতকাল নিজ কার্যালয়ে অসুস্থ, অসচ্ছল ও আহত সাংবাদিক এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারবর্গের মধ্যে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই রাজধানীতে যুবলীগের ইফতার অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, আমার করছে তথ্য আছে, আগামীতে ফের আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, জয়ের বক্তব্য আগামী নির্বাচন নিয়ে কুটিল চক্রান্তের ইঙ্গিত বহন করে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জয়ের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, দলের নিষ্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করতে পারলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে বলেই জয় বোঝাতে এ বক্তব্য দিয়েছিলেন।

জয়ের বক্তব্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজায় বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন তাদের স্বভাবই ষড়যন্ত্র করা। আর এ কারণে তারা সবসময়ই ষড়যন্ত্রের কথা বলেন। ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজেন। এ ধরনের লোকেরাই ভোট কারচুপি, ব্যালট বাঙ্ ছিনতাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও গণমাধ্যমের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালান। শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিএফআই, এনএসআই পরিচালিত জরিপ ছাড়াও তার হাতে চতুর্থ জরিপ রয়েছে। এ জরিপ দল ও তার নিজের করা। দলের অবস্থান জানার জন্য এ জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সব ঠিক আছে। আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় ফিরে আসার ঝুঁকি এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ধর্মের নামে বিরোধী দলের অপপ্রচার সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার ব্যাপারে সাংবাদিকদের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আগামীতে দেশ পরিচালনা কারা করবে? তারা কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, না যুদ্ধাপরাধী_ জাতির কাছে আজ এটা এক বিরাট প্রশ্ন।

প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমের জন্য একটি যথাযথ নীতি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মিডিয়ার জন্য প্রত্যেক দেশের নিজস্ব আইন রয়েছে। তিনি তথ্যমন্ত্রীকে যত দ্রুত সম্ভব এই নীতি প্রণয়নের নির্দেশ দেন।

এ বছর ১৫৮ জন অসুস্থ, অসচ্ছল ও আহত সাংবাদিক এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তাদের ৫৩ জন গতকাল প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে চেক গ্রহণ করেন।

তথ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা, বিএফইউজে সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া, ডিইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ ও তথ্য সচিব মর্তুজা আহমেদ বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ মোহাম্মদ ওয়াহিদ উজ-জামান ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর