শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব যাচাই করছে বিএনপি

সিদ্ধান্ত জানাতে পারে আজ

জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। দলীয় ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব যাচাই করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন চলবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। 
এ ছাড়াও এ ব্যাপারে আজ রাতে গুলশানে অনুষ্ঠেয় বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে দলের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন মির্জা ফখরুল। পর দিন রবিবার রাত ৮টায় একই স্থানে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়াও নাম প্রকাশ না করে স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সমগ্র দেশবাসী যখন ঐক্যবদ্ধ এবং আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত, ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী তার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যের নাম চেয়েছেন। জনগণের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার জন্যই তিনি এ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন। স্থায়ী কমিটির আজকের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর দলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 
প্রেসিডিয়াম সভা ডেকেছে জাতীয় পার্টি : প্রধানমন্ত্রীর গতকালের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি মহাজোট সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি। তবে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটা একটা ভালো উদ্যোগ। আমরা আশা করব সরকার নির্বাচন বিষয়ে বাকি সমস্যাগুলোও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেবে। তিনি বলেন, আগামীকাল (আজ শনিবার) দুপুরে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভা আহবান করা হয়েছে। সেই সভা থেকে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। 
প্রত্যাখ্যান করেছে জামায়াত : এদিকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে মিথ্যাচার বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ অন্তঃসারশূন্য কথামালার ফুলঝুরি ছাড়া আর কিছুই নয়। জামায়াতের এ নেতা উল্টো সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। জেএসডি বলেছে, সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের দেওয়া এ প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেছেন, নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের জনগণ নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার অতীতে অসাংবিধানিক ছিল না। বর্তমান সরকার একে সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। তাই সরকারকেই একে সংবিধানে পুনঃস্থাপন করে জটিলতা নিরসন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর