শিরোনাম
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

'বিরোধ মীমাংসা না হলে অস্থিরতা ভয়াবহ হবে'

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৩৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা বলেছেন, রাজনৈতিক বিরোধ মীমাংসা না হলে অস্থিরতা আরও ভয়াবহ হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিরসনের পথ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। তারা যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় যেতে কিংবা ক্ষমতা অাঁকড়ে থাকতে বদ্ধপরিকর। এটি সুস্পষ্ট, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়ে দলীয় অথবা নিজেদের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড়। বিএনপিও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি থেকে সরে আসতে নারাজ। তাই মুখে মুখে সংলাপের কথা বললেও কোনো দলই এ ব্যাপারে খুব আগ্রহী নয়।

বিবৃতিতে তারা বলেন, এমনি এক পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যেন একতরফা নির্বাচনের দিকে হাঁটছে। বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর জন্য হরতালের মতো অনিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করছে। ফলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে কয়েক সহস াধিক। সরকারি-বেসরকারি অনেক সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। দেশের মানুষের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। তারা বলেন, বিরোধী দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সাম্প্রতিক গ্রেফতার দুই দলের বিরোধে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। আমাদের ধারণা, সরকারের এমন দমনপীড়ন পদক্ষেপ সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলবে। সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক বিরোধ মীমাংসার পথ বন্ধ হয়ে যেতে এবং অস্থিরতা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। আমাদের আশঙ্কা, উগ্রবাদী শক্তি এ পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করে শক্তি সঞ্চয় করতে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার প্রতি চরম আঘাত হানতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কাছে দাবি হচ্ছে, সরকার যেন আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিরোধীদলীয় নেতাদের অযৌক্তিকভাবে গ্রেফতার থেকে বিরত থাকে এবং গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করে। একইসঙ্গে বিরোধী দলকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেয়। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন_ অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ড. আকবর আলি খান, সি এম শফি সামি, এ এস এম শাহজাহান ও অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর