পাশ্চাত্যে প্রবাসী বাঙালির মেধার আরেকটি স্বীকৃতি এলো। গবেষণায় মানবতার কল্যাণে এ পুরস্কার পেলেন ড. জাফরুল হাসান। ডাকযোগে অথবা অন্য কোনোভাবে অ্যানথ্রাক্স আক্রমণকে (বায়ো-টেররিজম ) প্রতিহত করার পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের 'পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ)'র জাতীয় অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছেন (“EPA National Honor Award”) বাংলাদেশি-আমেরিকান বিজ্ঞানী ড. জাফরুল হাসান। খবর এনা। অ্যানথ্রাক্স আক্রমণে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন এবং শতাধিক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন আমেরিকায়। এক ধরনের সন্ত্রস্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সারা আমেরিকায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল প্রশাসনের বিভিন্ন উইং নিজ নিজ উদ্যোগে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয়। যুক্তরাষ্ট্র পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার (ইপিএ) ওয়াশিংটন ডিসিতে পেস্টিসাইড প্রোগ্রাম মাইক্রোবায়োলজিস্ট ল্যাবরেটরিতে ৯ সদস্যের একটি গবেষণা টিমের নেতা হিসেবে ড. জাফরুল হাসানকে বায়ো-টেররিজমের কবল থেকে আমেরিকানদের রক্ষায় নয়া এ পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য ইপিএ'র সর্বোচ্চ জাতীয় এ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের ঘোষণা গত জুন মাসে দেওয়া হলেও অ্যাওয়ার্ডটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে গত সপ্তাহে।

এটি হচ্ছে প্রশাসনের সেরা এবং মেধাবী কর্মকর্তাকে স্বীকৃতি প্রদানের অনন্য উদাহরণ। ড. হাসান ২৭ নভেম্বর বার্তা সংস্থা এনাকে পেশাগত সাফল্যের এ তথ্য জানান। ড. হাসান জানান, 'যুক্তরাষ্ট্র ফেডারেল প্রশাসনের (কেন্দ্রীয় সরকার) ৫০টি সংস্থার মেধাবী অফিসারদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত এক বছরের ফেলোশিপ প্রোগ্রামেও আমাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে এমএসসি করে ১৯৮৬ সালে রোটারি ক্লাবের স্কলারশিপ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারলিনায় উচ্চতর শিক্ষা নিতে আসেন জাফরুল হাসান। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি মাস্টার অব পাবলিক হেলথ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে ডক্টরেট করেন। ড. জাফরুল ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে লোরেল সিটিতে সপরিবারে বসবাস করছেন।

ড. জাফরুল বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র পরিবেশ সুরক্ষা দফতরের সিনিয়র বিজ্ঞানী হলেও প্রিয় মাতৃভূমির পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা রাখার ইচ্ছা রয়েছে।