শিরোনাম
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার শেষ কথা

খালেদা জিয়ার শেষ কথা, শেখ হাসিনাকে সরে দাঁড়াতে হবে। ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফারনান্দেজ তারানকোকে শনিবার বৈঠককালে এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপ-সমঝোতা খুবই জরুরি। তবে অবশ্যই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থেকে শেখ হাসিনাকে সরে দাঁড়াতে হবে। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন- রাষ্টপ্রতি, স্পিকার কিংবা অন্যকেউ- এমন কোনো ফর্মুলা বা প্রস্তাবনা দেননি বেগম জিয়া। বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের উদ্যোগে আশাবাদী নয় বিএনপি। দলটি মনে করে, সরকার অনড় অবস্থানে থাকায় তারানকোর সফরে ফলপ্রসূ কিছু হবে না। এ অবস্থায় শনিবার থেকে শুরু হওয়া ৭২ ঘণ্টার অবরোধ বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হওয়ায় ওইদিনও অবরোধ রাখা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তারানকোর সঙ্গে প্রধান বিরোধী দলের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি ও পরিবেশ বাংলাদেশে নেই। বর্তমান সরকার ব্যবস্থা বলবৎ রেখে নির্বাচন পেছানো হলে তাতেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট অংশ নেবে না। এ সময় তিনি বারবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি, জোট মহাজোটের বাইরে থাকা অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন বেগম জিয়া। বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার একটি সারসংক্ষেপ বেগম জিয়ার কাছে তুলে ধরেন তারানকো। জানা গেছে, আজ সন্ধ্যা ৬টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠক করবেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব। এরপরই বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরবে।

জানা যায়, বৈঠকে বেগম জিয়া সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের আত্দগোপনে থাকার কারণসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুলি করে নেতা-কর্মীসহ সাধারণ নাগরিকদের হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেন। এক ঘণ্টা ৫০ মিনিটের বৈঠকে বিএনপির অবস্থান এবং সমঝোতায় পৌঁছাতে কতটুকু ছাড় দিতে পারে, তা জানতে চেয়েছেন তারানকো।

বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্কার তারানকো কোনো ফর্মুলা দেননি, তারাও কোনো ফর্মুলা দেননি। আনুষ্ঠাকি বৈঠকের পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারানকো একান্তে ১৫ মিনিট কথা বলেন। ওই সময় কী কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান এবং সাবিহ উদ্দিন আহমদ। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারানকোর কথায় সমস্যা সমাধানে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যায়নি।

 

 

সর্বশেষ খবর