শিরোনাম
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

শিল্প খাত রক্ষায় ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটি গঠন

রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প খাতে অস্থিরতা ও ভাঙচুর ঠেকাতে 'ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটি' করেছে সরকার। রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং নরসিংদী-এই ৪ জেলাকে ভাগ করে মোট ৮টি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিগুলোর কাজ শিল্প-কারখানায় কোনো সংকট দেখা দেওয়ার শুরুতেই আলোচনার মাধ্যমে সেটিকে নির্মূল করা। গত সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সংকটের সুযোগ নিয়ে শ্রম অসন্তোষের নামে তৈরি পোশাক খাতসহ শিল্প এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এরই মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ড গোয়েন্দাদের ওই আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণিত করেছে। এ কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে কেউ যাতে কোনো অজুহাতে শিল্প খাতে ধ্বংসাত্দক কর্মকাণ্ড না চালাতে পারে সে লক্ষ্যেই কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গার্মেন্ট শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প খাতে সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা থেকে এর আগেও এ ধরনের কমিটি ছিল। এবার সেটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংশোধন করে নতুনভাবে গঠিত হলো। এ কমিটি শিল্প খাতের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করবে। প্রজ্ঞাপন অনুসারে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিটি কমিটির প্রধান থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক। সদস্য হিসেবে ডিজিএফআই, এনএসআই, পুলিশের এসবি শাখা, র‌্যাব, এএসপি সার্কেল, শ্রম পরিদফতর, উপজেলা প্রতিনিধি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদফতরের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন। এ ছাড়া দুজন শ্রমিক প্রতিনিধি, সমসংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিকেও কমিটিতে রাখা হবে।

কমিটির কার্যপরিধি : তৈরি পোশাক কারখানা বা শিল্প এলাকায় যে কোনো ধরনের সংকট মোকাবিলায় কমিটিগুলো যে কাজ করবে সেগুলো হচ্ছে সংকট উদ্ভবের আশঙ্কা দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বয়ে তা অঙ্কুরে বিনষ্ট করা; সৃষ্ট সংকট সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তায় সরেজমিন পরিদর্শন করে নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া; স্থানীয় পর্যায়ে তৈরি পোশাক খাতের শ্রম পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার উদ্দেশে কারখানাভিত্তিক সভা করে প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রতি মাসে অন্তত একবার সভায় মিলিত হয়ে নিজ নিজ অঞ্চলের শিল্প খাতের সামগ্রিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করা। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী ৪ জেলাকে ভাগ করে যে ৮টি কমিটি করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে ঢাকা জেলার সাভার ও আশুলিয়া নিয়ে ঢাকা-১; ঢাকা মহানগরী নিয়ে ঢাকা-২; কালিয়াকৈর ও সদরের কিছু অংশ এবং শ্রীপুর ও সদরের কিছু অংশ নিয়ে গাজীপুর-১; গাজীপুর সদর, কাপাসিয়া ও কালিগঞ্জ নিয়ে গাজীপুর-২; নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর ও সোনারগাঁও নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১; রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৩ এবং সমগ্র নরসিংদী নিয়ে নরসিংদী জেলা নামে আঞ্চলিক ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটিগুলো করা হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর