শিরোনাম
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

মানুষ ভোট দিতে যাবে না

মানুষ ভোট দিতে যাবে না

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা হতে হলে প্রথম শর্তই হবে অবরোধ প্রত্যাহার করা। অন্যথায় কোনো সংলাপ হতে পারে না। তিনি বলেন, 'তুমি মারধর করবে, মানুষের জীবন বিপন্ন করবে, আর এরপর আমি তোমার সঙ্গে বসে কথা বলব'- এটা হতে পারে না। তবে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে হয়তো ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবে না। তিনি বলেন, যে কোনো নির্বাচনেই বিরোধী দল না থাকলে কেউ ভোট দিতে যাবে না এবং নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা হবে কি না- প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, 'আই ডোন্ট নো'। কারণ এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। তবে দুই পক্ষের দূরত্ব খুব বেশি নয়। বিএনপি চায় শেখ হাসিনা বাদ দিয়ে সরকার, কিন্তু এটি সম্ভব নয় বলে প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। তফসিল পরিবর্তন করা হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি নির্বাচন কমিশনের বিষয়। সব দল চাইলে তারা এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারে। তবে ২৪ জানুয়ারির আগে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান মেয়াদে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র এবং রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য অভিন্ন পে-স্কেল হচ্ছে না। পে-স্কেল বাস্তবায়নে সচিব কমিটি ও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়া গেলেও এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করতে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বতন্ত্র কাঠামো বাস্তবায়নে আইনগত জটিলতা আছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এটা সম্ভব নয়। অবরোধে দেশের 'অর্থনীতি বেশ কষ্টে আছে' বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে আমি দেশের জন্য খুবই উদ্বিগ্ন। অর্থনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ড নেই, কোনো উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না, মানুষেরও যাওয়া-আসা নেই। এসব কিছুর জন্য বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করে তিনি বলেন, এটা হচ্ছে দেশের জন্য বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার উপহার। মুহিত বলেন, মানুষকে পুড়িয়ে মারার যে কালচার খালেদা জিয়া সৃষ্টি করে যাচ্ছেন, এটা জনগণ সহ্য করবে না। এটা প্রতিহত করা উচিত। দেশের ভবিষ্যৎ বিপজ্জনক হয়ে গেছে। আমাদের অর্থনৈতিক যেসব প্রজেকশন, সেগুলো কোথায় যে যাবে- বলা কঠিন।

গ্রামীণ ব্যাংকের বিধিমালা প্রণয়ন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইনটি যেহেতু পাস হয়ে গেছে, তাই বিধিমালা প্রণয়নে বাধা নেই। গ্রামীণ কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কমিশন একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে। তবে ড. ইউনূস সহযোগিতা না করায় গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী ৫৪টি প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গে কমিশন খুব বেশি কিছু পায়নি।'

 

 

সর্বশেষ খবর