রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস বন্ধে যা প্রয়োজন তা-ই করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস বন্ধ করতে যা যা প্রয়োজন তা-ই করা হবে। কোনো ধরনের জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এ দেশে চলবে না। রাজনীতি করতে হলে এগুলো বন্ধ করতে হবে। গণতান্ত্রিক পথে আসতে হবে। এসব জনগণ মেনে নেবে না। গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভার আগে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতই মুরবি্ব থাকুক, যত বড় শক্তিই পাশে দাঁড়াক জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কেউ রক্ষা করতে পারবে না। জনগণ আমাদের পাশে আছে। জনগণকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে যা যা প্রয়োজন তা করে যাচ্ছি, করে যাব। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন অনেক দায়িত্ব। জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের হামলার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা দেখে আমার ২০০১ সালের কথা মনে পড়ে যায়। তারা এবার নির্বাচনে আসেনি তাতেই এ অবস্থা। নির্বাচনে এলে, আল্লাহ না করুক তারা ক্ষমতায় এলে দ্বিগুণ আক্রমণ হতো। নিরীহ মানুষগুলোর অপরাধ কি? ভোট দেওয়াই কি তাদের অপরাধ। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় ক্ষতিপূরণে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, হামলার ৫ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ঘরের ডিজাইনও করে দিয়েছি। মোটামুটিভাবে ৬ ইঞ্চি গাঁথুনি ও টিনের চালের ঘর তৈরি করতে বলেছি। তাদের স্যানিটারি ল্যাট্রিন করে দেওয়া হবে। বিএনপি-জামায়াত হত্যার উৎসব করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, তারা নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে পেট্রল ঢেলে মানুষ হত্যা করেছে। কেউ তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এমনকি গরুভর্তি গাড়িতেও তারা পেট্রল দিয়ে আগুন দিয়েছে। তারা তাদের আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড করেছে। সরকার শপথগ্রহণের পর দেশে স্বস্তি ফিরে এসেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর বিশেষ করে শপথ গ্রহণের পর দেশে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যদিও জনগণের শান্তি দেখলে বিএনপি নেত্রীর ভালো লাগে না। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শুরু হওয়া এ বৈঠকে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর