রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

আজ জিয়াউর রহমানের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী

আজ জিয়াউর রহমানের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার ডাকনাম কমল। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ ভোরে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল বিএনপি জাতীয় প্রেসক্লাবে দিবসটি পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। একইভাবে সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করছে। এ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের প্রধান হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে অসহযোগ আন্দোলনরত নিরীহ বাঙালির ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে শুরু হয় জনযুদ্ধ। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপপ্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শের নতুন দর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠনের মধ্য দিয়ে দেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির সূচনা করেন রাষ্ট্রপতি জিয়া। ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়ে দেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির প্রবর্তন করেন তিনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে গভীর রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়া।

জিয়ার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি '৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ, '৯১ সালের ৫ম সংসদ, ১৯৯৬ সালের ৬ষ্ঠ ও ২০০১ সালের ৮ম সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে পাঁচ বার সরকার গঠন করে। নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দলে ভূমিকা পালন করে বিএনপি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

বাণী : শহীদ জিয়ার ৭৯তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই আমাদের জাতিসত্তার সঠিক স্বরূপটি আবিষ্কৃত হয়। আমাদের ভৌগোলিক জাতিসত্তার সুনির্দিষ্ট পরিচয় দান করে। বিশ্ব মানচিত্রে আমাদের আত্মপরিচয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখারও সাহসী অঙ্গীকার। জন্মদিনে তার প্রদর্শিত পথেই বর্তমানের অগণতান্ত্রিক শক্তি ও আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাভূত করতে হবে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর