শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪ ০০:০০ টা

আরও ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চায় ভারত

বাংলাদেশকে আরও ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চায় ভারত। ঢাকা সফররত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব অরবিন্দ মেহতা তার সরকারের পক্ষে বাংলাদেশকে এ সহায়তার প্রস্তাব দেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

এর আগেও বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। একই বছরের ৭ আগস্ট ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি (তৎকালীন অর্থমন্ত্রী) প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঢাকায় ভারতের এঙ্মি ব্যাংক ও বাংলাদেশের ইআরডির মধ্যে একটি ঋণচুক্তি সই হয়। ২০১২ সালের এপ্রিলে ঢাকা সফরে আসেন দেশটির তৎকালীন অর্থমন্ত্রী (বর্তমান রাষ্ট্রপতি) প্রণব মুখোপাধ্যায়। ওই সফরে ১০০ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে ২০ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি। অনুদানের ওই অর্থ পদ্মা সেতুতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবারের ঋণ প্রস্তাবটি ভিন্ন প্রসঙ্গে। বিশেষ করে দুই দেশের সীমান্ত বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত রেল ও সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে এই ঋণ ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে দেশটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রস্তাবিত ১০০ কোটি ডলার ঋণের জন্য দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। তবে ঋণের মেয়াদ এবং গ্রেস পিরিয়ড নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কর্মকর্তারা জানান, ভারত সরকারের পক্ষে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব অরবিন্দ মেহতা অনানুষ্ঠানিকভাবে এসব প্রস্তাব দিয়েছেন। এখন সরকার চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী আলোচনা এগিয়ে নিতে পারে।

প্রসঙ্গত, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেটিসি) দুই দিনব্যাপী বৈঠক গতকাল শেষ হয়েছে। বৈঠকে নয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারি। অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব অরবিন্দ মেহতা। জেটিসির আলোচনায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কনটেইনার ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ, উভয় দেশের মধ্যে কোস্টাল শিপিং দ্রুত চালুর লক্ষ্যে চুক্তি ও সংশ্লিষ্ট প্রটোকল চূড়ান্তকরণ, বাংলাদেশ-মেঘালয় সীমান্তে নতুন বর্ডার স্থাপন, বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের অবকাঠামো ও সেবার মান উন্নতকরণ, বিএসটিআই এবং বিআইএস'র মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি দ্রুত চূড়ান্তকরণ, বাংলাদেশের স্পর্শকাতর তালিকা থেকে ভারতের অনুরোধ তালিকার ২২৫টি পণ্য বাদ দেওয়া, বিএসটিআই ইস্যুকৃত পণ্যের ছাড়পত্র ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্রহণ করা, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ওপর আরোপিত সিভিডি প্রত্যাহার, লিলিপুট কিডসওয়ারের পাওনা টাকা পরিশোধ, ভারতের বিভিন্ন স্থলবন্দরে অবকাঠামো উন্নয়ন, ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী রপ্তানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

 

সর্বশেষ খবর