সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

পাহাড়ে পাহাড়ে উৎসবমুখর বৈসাবি

চিরায়ত বাংলার পাহাড়ে পাহাড়ে এখন উৎসব। প্রাণের বৈশাখকে আজ বরণ করছে গোটা বাংলাদেশ সব বাঙালি। আর পাহাড়ের আদিবাসীরা একই সময়ে তাদের নতুন বছরকে বরণ করছে ভিন্ন ধাঁচে অন্যরকম আনন্দে। পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম অর্থাৎ রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি মুখর হয়ে উঠেছে বৈসাবি আয়োজনে। পাহাড়িদের মধ্যে খাগড়াছড়িতে বৈসু,বান্দরবানে সাংগ্রাই এবং রাঙামাটিতে বিষু বা বিজু উৎসব করা হয়। আর এ তিন উৎসবের প্রথম অক্ষর (বৈ-সা-বি) নিয়েই পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈসাবি উৎসব মন কাড়ছে পাহাড়িদের সঙ্গে সঙ্গে সমতলের বাঙালিদের।

তবে পাহাড়ের আদিবাসীদের উৎসব কিন্তু একদিনের মধ্যে সীমাবন্ধ থাকছে না। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তি এবং নতুন বছরের প্রথম পাঁচ দিন পাহাড়ে চলে উৎসবের ঘনঘটা। নুতন পোশাকের পাশাপাশি নতুন করে ঘরকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা পাহাড়ের সর্বত্র। চৈত্রের শেষ দুই দিন গতকাল ও গত পরশু মূলত ধর্মীয় প্রার্থনা কালচার চালিয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী।

বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব পুরোদমে শুরু হয়েছে গতকাল। দুপুরে বান্দরবানের পুরাতন রাজবাড়ীর মাঠ থেকে বর্ণিল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু এই 'সাংগ্রাই'। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের পুরাতন রাজবাড়ী মাঠে শেষ হয়। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টচার্যসহ পাহাড়ি নেতারা।

আজ বছরের প্রথম দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানানুষ্ঠান, আগামীকাল ও পরশু আদিবাসী পল্লীগুলোতে তাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব ও বিকালে পুরনো রাজবাড়ী মাঠে জল কেলী উৎসবে মেতে উঠবে পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা। শুক্রবার ধর্ম দেশনা শ্রবণের মধ্যে দিয়ে বর্ষবরণের এই উৎসবের শেষ হবে। সাংগ্রাইকে ঘিরে পার্বত্য বান্দরবানে বইছে আনন্দের বন্যা।

বান্দরবান সাংগ্রাই কমিটির সভাপতি অং চ মং মার্মা বলেন, আনন্দঘন আয়োজনে সাংগ্রাই উদযাপনে উদযাপিত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর