সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে খালেদার আবেদন

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল তার পক্ষে হাইকোর্টে এ রিভিশন আবেদন দায়ের করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিচারপতি বোরহানউদ্দিন এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে বুধবার শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ওই দুই মামলায় ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়। অভিযোগ গঠনের ওই আদেশ বাতিলের পাশাপাশি মামলা দুটির কার্যক্রম স্থগিত ও বিচারিক আদালতের নথি তলবেরও আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে। এ ছাড়া ওই দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- মর্মে রুলও চাওয়া হয়েছে। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা নেই। কাগজপত্রে তার কোনো স্বাক্ষর নেই। অভিযোগ গঠনে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। আইন অনুযায়ী অভিযোগ গঠন করার বিষয়ে খালেদা জিয়া দোষী না নির্দোষ তা জিজ্ঞেস করা হয়নি। অভিযোগ গঠনের আগে তাকে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়নি। নিজ কক্ষে বসে আদালতের কর্মচারীর মাধ্যমে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে সবাইকে অবহিত করা হয়। এটা ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪২ ধারার পরিপন্থী। খালেদা জিয়ার এ আইনজীবী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪১(১) ধারা অনুসারে খালেদা জিয়া অব্যাহতির আবেদন করেছিলেন। তার সেই আবেদনের শুনানি না করেই অভিযোগ গঠন করা হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুদক ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি করে। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্দসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে তেজগাঁও থানায় অন্য মামলাটিও করে দুদক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্দসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়।

সর্বশেষ খবর