শিরোনাম
বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা
ওরিয়েন্টাল ব্যাংক

ছয় কর্মকর্তাসহ সাত জনের কারাদণ্ড

ঋণ জালিয়াতির দায়ে সাবেক ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তাসহ সাতজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান ও জরিমানা করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ওই আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফারুকুজ্জামান ভুইয়া সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার আসামি ওরিয়েন্টালের ৬ কর্মকর্তাকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ব্যবসায়ী বকর হোসেনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। একই সঙ্গে সাত আসামির সবাইকে ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৫৭২ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই পলাতক ছিলেন। এ কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় রায়ের অনুলিপিসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা পুলিশ কমিশনার ঢাকা ও চট্টগ্রাম বরাবর পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সুপার মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও খুলনা বরাবর পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- (১) ঢাকার দুই নম্বর গুলশানের ৬৮/১ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির এ/৩ এপার্টমেন্টের মৃত  এইচডি শাহর ছেলে শাহ মো. হারুন। (২) মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার দোগাছি বাজার শমপুর গ্রামের মৃত এ এফ এম ইউনুসের ছেলে আবুল কাশেম মাহমুদ উল্লাহ। (৩) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার নিজ সরাইল গ্রামের কারি বজলুর রহমানের ছেলে মো ফজলুর রহমান। (৪) ঢাকার উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়ির এম এ হোসেনের ছেলে মাহমুদ হোসেন। (৫) ঢাকার উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের পাঁচ নম্বর সড়কের ৩৪ নম্বর বাড়ির মৃত মোফাজ্জল হোসেন তালুকদারের ছেলে কামরুল হোসেন। (৬) চট্টগ্রামের মুরাদপুরের সুগন্ধার ১৩ মিউনিসিপাল হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা এবং ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার কর্মকর্তা ইমামুল হক এবং (৭) খুলনা জেলার খালিশপুরের বি-৭ হাউজিং এস্টেটের মৃত কমর হোসেনের ছেলে মো. বকর হোসেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে শাহ মো. হারুন ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স মো. বকর হোসেনের মালিক মো. বকর হোসেনের নামে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব খোলেন। হিসাব খোলার সময় তাকে শনাক্ত করে হিসাবের ওই ফরম অনুমোদন করেন শাখা ব্যবস্থাপক শাহ মো. হারুন। পরে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তাসহ সাতজনের যোগসাজশে ব্যাংক হিসাবগুলোতে অবৈধভাবে এক কোটি টাকা হস্তান্তর করেন।
এই অভিযোগে ২০০৬ সালে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আখতার হামিদ ভুইয়া। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা যাচাই-বাছাই ছাড়াই সঠিক ও যথাযথভাবে জামানত না রেখে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে অসৎ উদ্দেশে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। তাই অবৈধভাবে তড়িঘড়ি করে প্রস্তাব প্রেরণ ও মঞ্জুরি প্রদান করে পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের এক কোটি টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। পরে তদন্ত করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৯ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের নাম বদলে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক হয়।

সর্বশেষ খবর