শিরোনাম
বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

বড় চালানের জন্য গাড়িতে এমপির স্টিকার লাগাতেন জুবায়ের!

বড় চালানের জন্য গাড়িতে এমপির স্টিকার লাগাতেন জুবায়ের!

সংসদ সদস্যের কাছ থেকে কেনা বিলাসবহুল পাজেরো গাড়িতে করে মাদক পরিবহন করতেন গ্রেফতারকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ জুবায়ের! সাদা রঙের ওই গাড়িটির কারণেই গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের নজরদারি এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, কক্সবাজার কিংবা চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবার বড় চালান আনার সময় মাঝে মধ্যেই ওই গাড়িতে সংসদ সদস্যদের স্টিকার ব্যবহার করত জুবায়ের। সাত দিনের রিমান্ডে থাকা জুবায়ের এবং তার সহযোগীদের কাছ থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য আদায় করেছেন গোয়েন্দারা।
তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জুবায়ের খুবই ধূর্ত প্রকৃতির লোক। অনেক প্রশ্নেরই উত্তর জানা বাকি রয়েছে। রতন নামের একজন লোককে আমরা খুঁজছি। তাকে পাওয়া গেলে অনেক বিষয়ই খোলাসা হয়ে যাবে।
সূত্র জানায়, মাত্র ২৮ বছর বয়সেই দুটি বিয়ে করেছেন জুবায়ের। প্রথম স্ত্রী মিয়ানমারের নাগরিক। তিনি চট্টগ্রামে জুবায়েরের বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করেন। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী-কে নিয়ে জুবায়ের নিকেতনের ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। নিকেতনের ফ্ল্যাটেই ইয়াবার কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। বিলাসবহুল এই গাড়িটি রতন নামের এক গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনেছিলেন বলে দাবি করছেন জুবায়ের। ওই গাড়িটিতে এখনো গ্যারেজ নাম্বার প্লেট (ঢাকা মেট্রো-ম-৫০১) রয়েছে। নাম পরিবর্তনের জন্য রতন তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন জুবায়ের। রতনের বাসা রাজধানীর বেইলী রোড এলাকায়। তবে জুবায়ের গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপন করে আছেন রতন।
গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে এরই মধ্যে জুবায়ের জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করতেন জুবায়ের। মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে নিয়ে আসা ইয়াবার প্রতি পিসে ৫০ টাকা লাভ হতো। মিয়ানমারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পরামর্শে দেশেই ইয়াবা তৈরির কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। ইয়াবার সব ধরনের কাঁচামাল জুবায়েরকে সরবরাহ করার আশ্বাস দিয়েছিল ওই মাফিয়া সিন্ডিকেট।
 

সর্বশেষ খবর