শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে না বলুন : প্রধানমন্ত্রী

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে না বলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসুন হানাহানি, অগ্নিসংযোগ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে না বলি। আমরা উন্নত দেশ চাই, শান্তিপূর্ণ সমাজ চাই। আমাদের অগ্রযাত্রা কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। ৪৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিপনা করছে এবং আগুন দিয়ে শিশুদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যারা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, জাতি কখনোই তাদের ক্ষমা করবে না। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, আমরা পহেলা জানুয়ারি সবার হাতে বই পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের হরতালের কারণে শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না, ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারছে না।  
প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শিশুদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা আমাদেরকে নিজস্ব পরিচয়ে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা আমাদের নিজস্ব পৃথক ভূখণ্ড, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও সংবিধান পেয়েছি। আমাদের লক্ষ্য স্বাধীনতাকে অর্থবহ করা এবং একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনের মাধ্যমে সর্বক্ষেত্রে জাতির অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করা। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি, মর্যাদা বৃদ্ধি ও দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে আনতে শিশুদের দেশের মূল্যবান নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। তোমরা বাবা-মা, শিক্ষকদের কথা শুনবে। আমিও তোমাদের মতো একদিন শিশু ছিলাম। তোমাদের মধ্য থেকেই একদিন কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পৌঁছলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং ঢাকার জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া তাকে স্বাগত জানান। শুরুতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। প্যারেড কমান্ডার সালাম জানালে প্রধানমন্ত্রী পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শিশু-কিশোর সমাবেশের উদ্বোধন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন করেন। স্টেডিয়ামের বিশাল পর্দায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্যারেডে অংশ নেয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা : স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে মোহাম্মদপুরের গজনবী সড়কে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বিশ্রামাগারে ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন, ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর সেগুলো যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দেন।

সর্বশেষ খবর