শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
আল্পস জার্মান উইং দুর্ঘটনা

কো-পাইলট ‘ইচ্ছা করে’ বিমানটি বিধ্বস্ত করেন

ফ্রান্সের আল্পস পর্বতে বিধ্বস্ত জার্মান উইংসের বিমানটির কো-পাইলটই আসলে ইচ্ছাকৃত বিমানটি ধ্বংস করেছেন বলে দাবি করেছেন একজন ফরাসি তদন্ত কর্মকর্তা। দুর্ঘটনায় বিমানটির ১৫০ আরোহীর সবাই মারা গেছেন। বিমানটির ফ্লাইট রেকর্ডারের শেষ ৩০ মিনিটের ভয়েস রেকর্ডিং পরীক্ষা করে ফরাসি এক তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, বিমানের কো-পাইলট ইচ্ছা করেই এটি বিধ্বস্ত করেন বলে তিনি ধারণা করছেন।
ফরাসি তদন্তকারী ব্রাইস রবিন বলেন, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মিনিট দশেক আগে বিমানটির পাইলট ককপিট থেকে বেরিয়ে যান, সম্ভবত তিনি টয়লেটে যাওয়ার জন্য। এরপর ২৮ বছর বয়সী কো-পাইলট আন্দ্রিয়াজ লুবিজ একাই ককপিটে অবস্থান করেন এবং ককপিটের দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর কো-পাইলট একটি বাটন চেপে বিমানটিকে দ্রুত নিচে নামিয়ে আনেন। পাইলট টয়লেট থেকে ফিরে এসে ককপিটের দরজায় অনেকবার আঘাত করলেও কো-পাইলট দরজা খোলেননি। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে এ ঘটনার সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী বা জঙ্গি বিষয় জড়িত নয় বলে মত দেন। তিনি বলেন, কো-পাইলট কৌতূহলবশত বিমানটি দুর্ঘটনায় নিয়ে যান। তদন্তকারী ব্রাইস রবিন আরও জানান, ফ্লাইট রেকর্ডারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত কো-পাইলটের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ পর্যন্ত শোনা গেছে। বিমানটির কো-পাইলট বিমানটি আছড়ে পড়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তারা আরও জানান, বিমানটির আরেকটি ব্ল্যাক বক্স যেটি ডাটা সংরক্ষণ করে সেটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেটি উদ্ধারে কাজ চলছে। সেটি পাওয়া গেলে দুর্ঘটনার কারণ জানা আরও সহজ হবে। গতকাল সন্ধ্যায় বিমানসংস্থা লুফথেনসার গ্রুপের সিইও কারস্ট্রেন স্পোর ও জার্মানউইংয়ের সিইও থমাস উনইনকেলম্যান সংবাদ সম্মেলন করে বিমানটি দুর্ঘটনার জন্য কো-পাইলটকে দায়ী করেন। মঙ্গলবার স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ডুসেলডর্ফে যাওয়ার পথে ফ্রান্সের আল্পস পর্বতে বিধ্বস্ত হয় জার্মানউইংসের বিমান এয়ারবাস এ৩২০। বিমানে থাকা ১৪৪ জন যাত্রী এবং দুই পাইলট ও চারজন অ্যাটেনডেন্ট সবাই নিহত হন। এএফপি, বিবিসি।

সর্বশেষ খবর