বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

চূড়ান্ত হয়নি খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ হচ্ছে কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানান আলোচনা। মোদির সফরের সব কর্মসূচি চূড়ান্তভাবে ঘোষিত হওয়ার পরও খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের নির্দিষ্ট সময় ও সূচি না জানানোতেই এ আলোচনার সূত্রপাত। এ নিয়ে বিএনপি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়লেও দলের নেতারা সাক্ষাতের বিষয়ে আশাবাদী। বিএনপি বলছে, নয়াদিল্লি থেকে সাক্ষাৎ সূচি নির্ধারিত হয়েছে। তবে বিএনপির এ দাবি নিশ্চিত করা যায়নি। গতকাল রাতেও ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, এখনো বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ সূচি নির্ধারণ হয়নি।
সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় প্রটোকলের কোনো পদে না থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ সূচি নেই। রাষ্ট্রীয় সফরে শুধু রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়গুলো আছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন বিরোধীদলীয় নেত্রীও নন। তার কোনো সরকারি পদই নেই। এ কারণেই সর্বশেষ চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক ভিআইপি সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি। তবে সফরকারী যে কোনো পর্যায়ের ব্যক্তির সঙ্গে স্বউদ্যোগে সাক্ষাতের সূচি রাখতেই পারেন। সে হিসেবে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সূচি নির্ধারণের কথা। কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিতে মোদির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করে সাক্ষাৎ প্রার্থনা করা হয়েছে। আবেদনের চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। বরং দুই বছর আগে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাতের সূচি নির্ধারণ করার পরও খালেদা জিয়ার দেখা না করার সিদ্ধান্তে এখনো নাখোশ থাকার কথা বিভিন্ন ভাবে জানান দিল্লির সাউথ ব্লকের কর্মকর্তারা।
সফর আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গতকাল রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, নরেন্দ্র মোদি তার সফরের দ্বিতীয় দিনে বঙ্গভবন থেকে হোটেলে ফিরে একাধিক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এর মধ্যে আছেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। সেখানে আরও কিছু সময় এখনো অনির্ধারিত রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের জন্য সফরের দ্বিতীয় দিনে রবিবার দুপুরের পর ৪৫ মিনিট ‘সময়’ রেখেছেন মোদি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. মাহবুবুর রহমান (অব.) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা আশা করছি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারত পৃথিবীর বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ আজ অশান্ত ও অস্থিতিশীল। বিষয়টি ভারতও অনুধাবন করছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় ভারত এগিয়ে আসবে, দেশের মানুষ যে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে উনি (নরেন্দ্র মোদি) সেই গণতন্ত্রের কথা বলবেন- এটাই সবার প্রত্যাশা।

সর্বশেষ খবর