বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

অবশেষে পদত্যাগই করলেন ব্ল্যাটার

অবশেষে পদত্যাগই করলেন ব্ল্যাটার

এফবিআই চমকে দিয়েছিল দুর্নীতির অভিযোগে সাত কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে। ফিফার নির্বাচনের আগে গ্রেফতার ঘটনায় তোলপাড় গোটা বিশ্ব। কিন্তু তার চেয়ে বেশি চমক উপহার দিলেন সেপ ব্ল্যাটার। দুর্নীতির অভিযোগে যখন সভাপতির পদ টালমাটাল, তখনই সব চাপ সামাল দিয়ে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হন ব্ল্যাটার। নির্বাচিত হয়ে বলেছিলেন, তিনি পক্ষ-বিপক্ষ সবার সভাপতি। তখন মনে হয়েছিল, সব কিছু সামাল দিয়ে আরও ৫ বছর ফুটবল সাম্রাজ্যের নেতা হিসেবে থেকে যাবেন। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না। নির্বাচিত হওয়ার চার দিনের মাথায় ফিফার সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে চমকে দেন সবাইকে। শুধু তাই নয়, ৭৯ বছর বয়স্ক ব্ল্যাটার জানান, খুব শিগগিরই ফিফা তার নতুন সভাপতি নির্বাচনে বিশেষ কংগ্রেসেরে আয়োজন করবে। এটা সম্ভবত আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে মেক্সিকোকে হতে পারে। পদত্যাগ করলেও গুঞ্জন ফেঁসে যেতে পারেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ব্ল্যাটার ফিফার সভাপতি। প্রতিটি নির্বাচনের আগেই নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে ব্ল্যাটারকে। কিন্তু এবারের মতো সমস্যা এতটা প্রকট হয়নি কখনো। ফিফার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ঘুষের বিনিময়ে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ, ২০১৮ সালের রশিয়া বিশ্বকাপ এবং ২০২২ সালের কাতারকে বিশ্বকাপের আয়োজক করেছে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ আয়োজকের প্রার্থী ছিল ইংল্যান্ড এবং ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজকের প্রার্থিতায় ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দুই দেশের কেউই পায়নি। তখনই দেশ দুটি উঠে পড়ে লেগে মূল ঘটনা বের করতে। তাদের তদন্তে বের হয়ে আসে অন্ধকারে থাকা অনেক অজানা তথ্য। নির্বাচনের আগের দিন তাই গ্রেফতার করে জুরিখের ফিফা অফিস থেকে সাত কর্মকর্তাকে। মিচেল প্লাতিনিসহ অনেকেই ব্ল্যাটারকে নির্বাচন না করার অনুরোধ করেন। কিন্তু ব্ল্যাটার কারও কথায় কর্ণপাত করেননি। নির্বাচন করে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জর্ডানের প্রিন্স আলি বিন আল হুসেইন। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ব্ল্যাটার ভোট পান ১৩৩টি। জর্ডানের প্রিন্স পান ৭৩ ভোট। দ্বিতীয় পর্বে গড়ায় নির্বাচন। আলি হুসেইন সরে দাঁড়ানোয় দ্বিতীয় ধাপে ভোট হয়নি। নির্বাচিত হন ব্ল্যাটার। ব্ল্যাটার পদত্যাগ করায় ২০১৮ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেছে। রাশিয়া বিশ্বকাপ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে কাতার বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে প্রার্থী হয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু জিততে পারেনি। ভোটাভুটিতে মাত্র দুটি ভোট পেয়েছিল ইংল্যান্ড। চূড়ান্ত পর্বের ভোটে রাশিয়া ১৩-৭ ভোটে হারায় স্পেন-পর্তুগাল যৌথ আয়োজনের বিডকে। ২২ ভোটের বাকি দুটি পায় বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস। ২০২২ সালের অয়োজনের বিডিং লড়াইয়ে কাতারের কাছে যুক্তরাষ্ট্র হেরে যায় ১৪-৮ ভোটে। আয়োজক হতে না পারায় দুই দেশ মরিয়া হয়ে উঠেছে ফিফার দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করতে। এখন ব্ল্যাটার হঠাৎ সরে দাঁড়ানোয় বুঝাই যাচ্ছে এখনো অনেক নাটক বাকি! -ক্রীড়া ডেস্ক

সর্বশেষ খবর