শিরোনাম
রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ওলামা লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওলামা লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল আওয়ামী ওলামা লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ও সরকারের অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে সরকার সমর্থক ওলামা লীগের দুই গ্রুপ লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর চড়াও হয়। এ সময় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী গ্রুপের হামলায় সংগঠনের অপর  অংশের সভাপতি আখতার হুসাইন গ্রুপের ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার পর হেলালী গ্রুপ ও আখতার হুসাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধনে দাঁড়ায়। সাড়ে ১০টার দিকে ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী এসে গাড়ি থেকে নামার পর পরই তার সমর্থকরা ধর ধর বলে লাঠিসোঁটা নিয়ে আখতার হুসাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। কেউ কেউ তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে বেধড়ক পেটায়। কাউকে পরনের কাপড় ধরে টানা-হিঁচড়া করতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ওলামা লীগের ইলিয়াস ও আখতার হোসাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কার পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী যখন মানববন্ধনে আসেন তখনই টুপি পরিহিত অর্ধ-শতাধিক লোক লাঠি, চাপাতি নিয়ে পাশে থাকা আখতার হুসাইন গ্রুপের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় আহত ওলামা লীগের আখতার হুসাইন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে হেলালী গ্রুপের সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের ১২ জন আহত হয়েছেন। আরও যারা আহত হয়েছেন তাদের নাম এখনো পাইনি। আমরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করব। তিনি গণমাধ্যমকে আহত ১২ জনের নাম জানান। আহতরা হলেন- মাওলানা শওকত আলী শেখ সেলিমপুরী, হাজী হাবিবুল্লাহ রূপগঞ্জী, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকী, মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি, মাওলানা লোকমান হোসেন, কারি মাওলানা আসাদ, মাওলানা মো. সোলায়মান, মাওলানা নাজমুল হক, মাওলানা রবিকুল ইসলাম ও মাওলানা শাজাহান। অন্যদিকে হামলার বিষয়ে ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী বলেন, ‘আমি ওলামা লীগের সভাপতি। যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওরা জামায়াতের এজেন্ট। হেফাজতের চর। এ জন্যই ওলামা লীগের প্রকৃত কর্মীরা ওদের পিটিয়েছে।’ হেলালী গ্রুপের অভিযোগের বিষয়ে ওলামা লীগের অপর অংশের সভাপতি আখতার হোসাইন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নিজে এবার হজে পাঠিয়েছেন। আমি ১/১১ এর সময় প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে প্রথম মিছিল করেছি। পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী চিনেন, জানেন। আমরাই ওলামা লীগের প্রকৃত অংশ। ওরা আওয়ামী লীগের কেউ নয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর