রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

লন্ডন মিশনে বিএনপি নেতারা    

কাউকে দেখা দিচ্ছেন না খালেদা-তারেক

শফিউল আলম দোলন

লন্ডন মিশনে বিএনপি নেতারা

 

 

কেন্দ্রীয় বিএনপির অনেক নেতাই ঢাকা থেকে লন্ডন গিয়েও দেখা পাচ্ছেন না দলীয় চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের। সাক্ষাতের সুযোগ না দিয়ে বরং দেশে ফিরে দলের জন্য তাদের কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। ঢাকা থেকে যাওয়া নেতাদের সাক্ষাতের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছেন তারা। তবে যাদের প্রয়োজন, দলের শীর্ষ নেতৃদ্বয় সেই নেতাকে নিজেরাই ডেকে নিচ্ছেন। এদিকে আগামী মঙ্গলবার লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠেয় এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করার কথা রয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন তারেক রহমান। অতঃপর চিকিৎসা শেষে ২ নভেম্বর ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বেগম জিয়ার। এ উদ্দেশে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের টিকিটও গতকাল বুকিং দেওয়া হয়েছে বলে যুক্তরাজ্য বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা জানান।  অন্য এক সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য গমনকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে লন্ডন যান তার দুই উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আবদুল আওয়াল মিন্টু। এ সময় মিন্টুর ছেলে তাবিথ আওয়ালও সঙ্গে যান। মিন্টু গত সপ্তাহে দেশে ফিরলেও তাবিথ এখনো রয়ে গেছেন। তারা ইতিমধ্যে তারেক রহমানের বাসায় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে একাধিক বার দেখা করেছেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডন এসে কয়েকদিন অবস্থান করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাও একাধিক বার বৈঠক করে গেছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে। দল ও দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাও করেছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসার্থে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া দলের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা আমেরিকা থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে দেশে ফিরতে চাইলেও তাকে সাক্ষাতের অনুমতি না দেওয়ায় তিনি লন্ডন না গিয়ে সিঙ্গাপুর হয়ে দেশে ফেরেন। অনুরূপভাবে দলের যুগ্ম মহাসচিব ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বেশ কয়েকদিন লন্ডনে অবস্থান করে অনেক প্রচেষ্টার পরও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তাকে দেশে গিয়ে কাজ করতে এবং সেখানেই চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে বলে যুক্তরাজ্য বিএনপির এক শীর্ষস্থানীয় নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান। এ ছাড়া চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ চেয়ারপারসনের সঙ্গে প্রায় একই সময়ে লন্ডন গিয়ে আজো তার কিংবা সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের কারও দেখা পাননি। তবে তিনি এখনো আশাবাদী। একইভাবে বিশিষ্ট আইনজীবী ও দলের মানবাধিকারবিষয়ক একজন সম্পাদক সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েও এখনো দেখা পাননি। বগুড়া জেলা বিএনপি সভাপতি ভিপি সাইফুলও গেছেন একই উদ্দেশে। কিন্তু তাকেও লন্ডনে সময় নষ্ট না করে দেশে ফিরে কাজ করতে বলা হয়েছে। লন্ডনে ছেলের বাসভবনে ওঠার পর থেকে খালেদা জিয়ার সমস্ত দেখাশোনা করছেন তারেক রহমান। আর তার চিকিৎসার যাবতীয় তদারকি করছেন পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান। তিন নাতনি আর স্বজনদের নিয়ে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার। একচোখে অপারেশন সম্পন্ন হলেও আরেক চোখে বাকি রয়েছে। সেটিও করাতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। অতঃপর পায়ের চিকিৎসাও করাতে পারেন তিনি। আর সাংগঠনিকসহ যাবতীয় কাজে তারেক রহমানকে সহযোগিতা করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ। তারা সার্বক্ষণিক সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের দলীয় প্রধানকে। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ নাওয়া-খাওয়া হারাম করে দিন-রাত সময় দিচ্ছেন দলীয় হাইকমান্ড ও সেকেন্ড ইন কমান্ডের পেছনে।

 

সর্বশেষ খবর