রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সচিবদের বৈঠক পদ্মার তীরে

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু এলাকায় মাসিক সচিব সভা করলেন সরকারের ৫৮ সচিব। পরে তারা পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করেন। গতকাল সকাল ১০টায় পদ্মা সেতুর এক নম্বর সার্ভিস এরিয়ার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সচিবদের নিয়মিত মাসিক সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ সভায় বিভিন্ন বিষয়ে ৪৩ জন সচিব আলোচনায় অংশ নেন। সচিবদের আলোচনায় পদ্মা সেতু সর্বাধিক গুরুত্ব পায় বলে সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও কাজের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে পদ্মা সেতু এলাকায় নির্মাণকাজ পরিদর্শন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণকালে যদি মেটেরিয়ালসের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে সেতু নির্মাণের ব্যয়ও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে সেতু নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। তিনি টোল প্লাজা সম্পর্কে বলেন, টোল দিতে গিয়ে অনেক সময় গাড়ি দীর্ঘ জটে দাঁড়িয়ে থাকে। গাড়িগুলোকে যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে টোল আদায় করে ছেড়ে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু বর্তমান সরকারের প্রাইড প্রজেক্ট। সে গুরুত্ব বিবেচনায় এবারের সচিব সভা পদ্মা সেতু প্রকল্পে করা হয়েছে। সভায় পদ্মা সেতু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্প একটি মেগা প্রজেক্ট হওয়ায় সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করার আহ্বান করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ নিশ্চিত করা হবে এ সেতুর মাধ্যমে। এ ছাড়া অবকাঠামো উন্নয়ন, ভূমির ব্যবহারসহ পরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নদীশাসন প্রকল্পে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বিক সহযোগিতা করবে। সেতু নির্মাণে দেশের ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পরে সভায় অংশগ্রহণকারী সচিবরা মাওয়ার কুমারভোগে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির প্রকল্প ব্যবস্থাপক লি জং ইয়াং সচিবদের সেতুর কাজ নিয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।

এর আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বিআরটিসির দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে করে সভাস্থল দোগাছির সার্ভিস এরিয়ায় যান সচিবরা। মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল ও পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকাদার তাদের অভ্যর্থনা জানান। দুপুরের খাবারে ছিল ডাল-ভাতের সঙ্গে পদ্মার ইলিশ ও আইড় মাছ এবং ভাজি। এ ছাড়া বিক্রমপুরের ঐতিহ্যবাহী রসগোল্লা এবং দধিও ছিল। মধ্যাহ্নভোজের পর সচিবরা নির্ধারিত বাসে করে ঢাকায় ফিরে আসেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর