রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
মার্কিন দূতাবাসের বার্তা

আবারও হামলার শঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফের হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশে ভ্রমণ কিংবা চলাফেরা করার সময় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে। গতকাল সন্ধ্যায় দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এ বার্তা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর আবার সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য’ আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। তাই মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বার্তায় সে দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক হোটেলগুলোতে আয়োজিত পশ্চিমা নাগরিকদের বড় জমায়েতসহ অন্যান্য স্থানে তাদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে।

ওই বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালির একজন এবং ৪ অক্টোবর জাপানের একজন নাগরিককে হত্যার দায়িত্ব স্বীকার করেছে আইএসআইএল। ভবিষ্যতেও মার্কিন নাগরিকসহ পশ্চিমাদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তা জোরদার করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বাড়তি পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সন্ত্রাসের হুমকি ‘বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য’ রয়েই গেছে। ওই বার্তায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশে ভ্রমণরত কিংবা অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া, নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিবর্তনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বিশেষভাবে উৎসাহিত করছে। বাংলাদেশ জুড়ে ভ্রমণের সময় দূতাবাসের কর্মীরা সতর্কতামূলক নিরাপত্তার নিয়ম অনুসরণ করতে থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জনসমাগমের স্থলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেলে, সাইকেলে কিংবা কোনো ধরনের খোলামেলা বাহনে চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে। দূতাবাসের নিরাপত্তা শাখার অনুমতি ছাড়া তাদের আন্তর্জাতিক হোটেলসহ বাংলাদেশের বৃহৎ কোনো সমাবেশে যেতেও নিষেধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। এরপর মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুই বিদেশি খুন হওয়ার পর ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়। জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরও তাদের নাগরিকদের সতর্ক করে। ফলে বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের চলাচল হয়ে পড়ে সীমিত। এরপর অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় সতর্কতা জারি করা হয়। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা হালনাগাদ না করা হলেও গতকাল রাতে তা হালনাগাদ করা হলো।

সর্বশেষ খবর