শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার যৌক্তিক কারণ নেই

জুলকার নাইন

বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার যৌক্তিক কারণ নেই

সি এম শফি সামী

বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সি এম শফি সামী। তিনি বলেন, পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতদের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আবার সুনির্দিষ্ট কোন কারণে বিদেশিরা শঙ্কিত তাও স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। এ তথ্য প্রকাশ্যে বলার কোনো প্রয়োজন নেই। অন্তত সরকারের কাছে তো বলা যেত। তাই নিরাপত্তা  নিয়ে এ ধরনের শঙ্কার কোনো যৌক্তিক কারণ আমি অন্তত দেখি না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা করে তাদের উদ্বেগের কারণ জানা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। শফি সামী বলেন, পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতরা কী কারণে উদ্বিগ্ন তা আমরা জানি না। তারা প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, রাষ্ট্রদূতরা স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারও কাছেই এ ধরনের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ সম্পর্কে কিছুই বলেননি। আবার আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও বিদেশিদের ওপর হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে না, অর্থাৎ বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে এমন কোনো শঙ্কা আপাতত নেই এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা শঙ্কার বিষয়ে যদি সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হতো, তাহলে বোঝা যেত সত্যি উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু ঘটেছে। পৃথিবীর অন্যান্য স্থানেও এ ধরনের আইনশৃঙ্খলাজনিত অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। আজও (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি করে একজন ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা শফি সামী বলেন, বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিষয়ে ভ্রমণ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ বাইরের কেউ যখন দেখছে এখানে ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কতা রয়েছে, তখন সে এ দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতে বাধ্য। তার কাছে তো আর এখানকার ভিতরের খবর থাকবে না। তিনি বলেন, মন্ত্রীদের একের পর এক রিঅ্যাকশন কোনো কাজে আসবে না। বরং বর্তমান পরিস্থিতিতে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই। তাদেরই বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনায় বসতে হবে। বুঝতে হবে ঠিক কী কারণে তারা উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে সতর্কতা জারি করা রাষ্ট্রগুলোর কাছে আসলে কী তথ্য আছে তা জানা। পাশাপাশি দুই বিদেশি নাগরিক খুনের সঙ্গে জড়িত তদন্ত সংস্থাগুলোকেও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। দুই খুনের সঙ্গে প্রকৃতভাবে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে তদন্ত প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে ভাবমূর্তি রক্ষার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হতে পারে।

সর্বশেষ খবর