শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, সরকারকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেওয়া হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয় অর্জন করবে। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী এবং প্রয়াত বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামের স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন। এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, বিএনপি অতীতে সব স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এবারো দলীয় প্রতীকে নির্বাচনেও অংশ নেবে। যদি ‘সঠিক ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন হয় তবে বিএনপি ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয় অর্জন করবে। আর যদি অন্যায়ভাবে বিজয়কে কেড়ে নেওয়া হয় তবে এর ভয়ঙ্কর এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া হবে। সেই প্রতিক্রিয়া দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়বে। যা সামলানোর শক্তি এই সরকারের থাকবে না। তবে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে বলেও মনে করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অন্যতম এই পরামর্শক। স্মরণ সভায় ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ মো. ইবরাহিম বীর প্রতীক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, শাহ মো. আবু জাফর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম।

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন সরকারের ‘চালাকি এবং ধূর্ততা’ আখ্যা দিয়ে বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ইচ্ছে করেই এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের বিষয়টি আনা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়কে দলীয় পর্যায়ে টেনে এনে কীভাবে বিজয় অর্জন করা যায় তার পরিকল্পনা। এতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যাবে। স্থানীয় অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। বড় সংকট তৈরি হতে পারে। তবে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনের আগে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তন চান এমাজউদ্দীন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে যারা আছেন এরা সমাজের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তি। এই বয়সে এসে তাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু তাদের দাসবৃত্তি মনোভাব রয়ে গেছে। সেজন্য স্থানীয় এই নির্বাচনটিও সিটি করপোরেশনের মতো হতে পারে। তাই এই নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তন প্রয়োজন। তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে। এমাজউদ্দীন বলেন, এখন স্থানীয় নির্বাচনে মনোযোগ না দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত ছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ছয় মাস পরে হলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু সরকার ভয়ঙ্কর ক্ষমতাসীন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে এই নির্বাচনের আয়োজন করছে।

সর্বশেষ খবর