শিরোনাম
সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সাভারের সাবেক এমপি বাবু ও পৌর মেয়র রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি নেতা সাবেক এমপি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন বাবু ও সাভারের পৌর মেয়র রেফাত উল্লাহ গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল রাজধানী ও সাভার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুরনো দুটি পৃথক মামলায় তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, পুরনো নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করা হলেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে গাবতলীর পুলিশ খুনসহ সম্প্রতি সংঘটিত নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে। পুলিশের ধারণা, এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা খুনের বিষয়ে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।

সাভার থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, রবিবার ভোরের দিকে রাজধানীর পরীবাগের একটি বাসা থেকে দেওয়ান সালাহউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। আর মেয়র রেফাত উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয় সকালে সাভার পৌর এলাকার কর্ণপাড়ায় তার বাড়ি থেকে। তিনি বলেন, বিএনপির হরতাল-অবরোধের সময় সাভার-আশুলিয়ায় বিভিন্ন যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টাসহ নাশকতার দুটি মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে এ দুজনকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ২০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে সাভার থানা পুলিশ। এ সময় আসামিদের রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। রিমান্ড শুনানির শুরুতে তারা আদালতের কাছে শুনানি একদিন পিছিয়ে সোমবার নেওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের জেলা পিপি খন্দকার আবদুল মান্নান রবিবারই শুনানি করার আবেদন করেন। এ সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে সামান্য বচসা হয়। এরপর কোর্ট এজলাস থেকে বিচারক নেমে যান। তবে ১০ মিনিট পরে ফের এজলাসে উঠে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন আমলে নিয়ে জামিন শুনানির নির্দেশ দেন। এ সময় শুনানি বয়কট করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সিরাজ জিন্নাত এক মামলায় পাঁচ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২০০৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি জোটের হরতালের মধ্যে সাভারে একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়া হলে তিনজন দগ্ধ হন। পরে তাদের মধ্যে রতন কুমার দাশ (৫০) নামে একজন প্রকৌশলী হাসপাতালে মারা যান। ওই ঘটনায় সাভার মডেল থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ঢাকা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন বাবুকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া ওই সময় নাশকতার বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাতেও তার নাম রয়েছে। পৌর বিএনপি সভাপতি রেফাত উল্লাহ ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ধসের মামলারও আসামি। ওই মামলার অভিযোগপত্রে তার নাম আসায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। উচ্চ আদালতের আদেশে গত বুধবার তিনি আবারও মেয়রের দায়িত্বে ফেরেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর