শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

খুনিদের দ্রুত বিচার প্রয়োজন

মানিক মুনতাসির

খুনিদের দ্রুত বিচার প্রয়োজন

সেলিনা হোসেন

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন বলেছেন, মুক্তমনা লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, পুলিশ সদস্য ও বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোর কোনো ভাষা নেই। একটি মানববন্ধন বা মিছিল করা এসব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের কর্মসূচি হিসেবে যথেষ্ট নয়। সরকারই বা কি করবে? ১০০ জন মানুষকে একসঙ্গে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে তো সরকারের পক্ষে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব না। আর একজন মানুষকে কতদিনই পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে সরকার যা করছে যথাযথ পদক্ষেপই নিচ্ছে। তবে জঙ্গি দমনের প্রক্রিয়াটাকে আরও তরান্বিত করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। পাশাপাশি জননিরাপত্তার বিষয়টিকে আরও জোরদার করা দরকার। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সেলিনা হোসেন বলেন, সন্ত্রাসীরা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুলিশকেই প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছে। তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করছে। তাদের প্রাণনাশ করছে। এটা উদ্বেগজনক। এসব ঘটনার নায়কদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, মুক্তমনা লেখক, দীপন, অভিজিৎ, নিলয় ও বিজয়কে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি তো এদের ভুলতেই পারছি না। খুবই ভালো, সদালাপী ছেলেদের নির্মমভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। এভাবে তো চলতে পারে না। এসব ঘটনার মূল হোতাদের ধরতে হবে। সন্ত্রাসীদের ধরতে কিংবা ভিকটিমদের আইনি ও নিরাপত্তা সহায়তা দিতে সরকার উদাসীন এটাও বলা যাবে না। তবে সবকিছুর একটা যৌক্তিকতা থাকতে হবে। সেলিনা হোসেন বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য যারা হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। তাদের দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করতে হবে। যেন এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। দেশকে স্থিতিশীল করতে এসব সন্ত্রাসীকে কঠোর হস্তে দমন করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন নন্দিত এই কথাসাহিত্যিক।

সর্বশেষ খবর