শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

যারা বিএনপির মনোনয়ন পেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা বিএনপির মনোনয়ন পেলেন

আসন্ন পৌর নির্বাচনে ২৩৫ আসনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছে বিএনপি। গত দুই দিনে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান। ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে ২৩৫ পৌরসভায় একসঙ্গে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে দলের যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রত্যয়নপত্র সংশ্লিষ্টদের কাছে দিয়ে দিয়েছি। কয়েকটি আসনে শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন নিয়ে কিছুটা কাজ বাকি আছে। আশা করছি, শিগগিরই এগুলোর সমাধান হয়ে যাবে।’ বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো তালিকা গণমাধ্যমকে সরবরাহ না করার ফলে তথ্য সংগ্রহে সংবাদকর্মীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। দুই দিন ধরে তারা বিভিন্ন জন থেকে মনোনীত ব্যক্তিদের নাম সংগ্রহ করেন। মনোনয়নের প্রত্যয়নপত্র দেওয়া শেষ হয় গতকাল সন্ধ্যার পর গুলশানের কার্যালয়ে। তখন সেখানে কয়েকশ’ কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এদিকে বিকালে গুলশান কার্যালয়ের সামনে নরসিংদীর মনোহরদী পৌরসভার মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী মাহমুদুল হক বিপক্ষ গ্রুপের হাতে অপদস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এর আগে দুপুরে রাজবাড়ী পৌর আসনে মনোনয়ন নিয়ে সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ খৈয়ামের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীরা স্লোগান দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। অবশ্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

পৌরসভায় মনোনয়ন পেলেন যারা-ঢাকা বিভাগ : ঢাকার ধামরাইয়ে দেওয়ান নাজিমউদ্দিন, গাজীপুরের শ্রীপুরে শহীদ উল্লাহ শহিদ, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মোশাররফ হোসেন, তারাবোয় নাসিরউদ্দিন, মানিকগঞ্জ পৌরসভায় নাসির উদ্দিন আহমেদ যাদু, সিংগাইরে খুরশেদ আলম, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় এ কে এম ইরাদাত মানু, মীরকাদিমে মো. শামসুর রহমান বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন। টাঙ্গাইল পৌরসভায় মাহমুদুল হক, মির্জাপুরে হযরত আলী মিয়া, ভুয়াপুরে আবদুল খালেক মণ্ডল, সখীপুরে নাসিরউদ্দিন, গোপালপুরে খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, কালিহাতীতে আলী আকবর, ধনবাড়ীতে এস এম এ সোবহান, মধুপুরে শহিদুল ইসলাম; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আবুল কাশেম, পাংশায় চাঁদ আলী খান ধানের শীষ প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। নরসিংদী পৌরসভায় সাইফুল ইসলাম, মাধবদীতে মো. ইলিয়াছ, মনোহরদীতে মাহমুদুল হক বিএনপির প্রতীক পেয়েছেন। ফরিদপুরের নগরকান্দায় সাইফুল ইসলাম মুকুল, বোয়ালমারীতে আবদুস শুকুর; গোপালগঞ্জ পৌরসভায় তৌফিকুল ইসলাম, টুঙ্গিপাড়ায় মো. রাজু খান; শরীয়তপুর পৌরসভায় নাসিরউদ্দিন কালু, নড়িয়ায় সোহেল ব্যাপারী, ডামুড্যায় আলমগীর মাতবর, জাজিরায় ইকবাল হোসেন, ভেদরগঞ্জে গোলাম মোস্তফা; মাদারীপুর পৌরসভায় মিজানুর রহমান মুরাদ, শিবচরে জাহাঙ্গীর কামাল ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগ : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শহিদুল ইসলাম, ত্রিশালে আমিনুল ইসলাম, ফুলপুরে আমিনুল হক, ঈশ্বরগঞ্জে ফিরোজ আহমেদ বুলু, শেরপুর পৌরসভায় আবদুর রাজ্জাক আশীষ, নালিতাবাড়ীতে আনোয়ার হোসেন, নখলায় মোখলেছুর রহমান, শ্রীবরদীতে আবদুল হাকিম, গফরাগাঁওয়ে শাহ আবদুল্লাহ আল মামুন দলের মনোনয়ন পেয়েছেন।

জামালপুর পৌরসভায় শাহ মো. ওয়ারেস আলী মামুন, ইসলামপুরে রেজাউল করীম, মাদারগঞ্জে মোশাররফ হোসেন তালুকদার, দেওয়ানগঞ্জে এ কে এম মুসা, মেলান্দহে হাজী দিদার পাশা, সরিষাবাড়ীতে এ কে এম ফয়জুল কবির তালুকদার শাহিন; নেত্রকোনা পৌরসভায় এস এম মনিরুজ্জামান দুদু, মদনে মাশরিকুর রহমান, মোহনগঞ্জে মাহবুবুন নবী শেখ, দুর্গাপুরে মো. জামাল উদ্দিন, কেন্দুয়ায় শফিকুল ইসলাম বিএনপির প্রতীক পেয়ে মেয়র নির্বাচন করছেন।

সিলেট বিভাগ : সিলেটের জকিগঞ্জে বদরুল হক বাদল, কানাইঘাটে আবদুর রহিম, গোলাপগঞ্জে শাহীন চৌধুরী; সুনামগঞ্জ পৌরসভায় অধ্যক্ষ সেরিগুন, ছাতকে শামসুর রহমান, দিরাইয়ে মাইনুদ্দিন চৌধুরী, জগন্নাথপুরে রাজু আহমেদ; মৌলভীবাজার পৌরসভায় অলিউর রহমান অলি, কমলগঞ্জে আবু ইব্রাহিম জমসের, কুলাউড়ায় কামালউদ্দিন আহমেদ, বড়লেখায় আনোয়ারুল ইসলাম; হবিগঞ্জ পৌরসভায় জি কে গউস, নবীগঞ্জে সাবেরুল হক, মাধবপুরে হাবিবুর রহমান মানিক, শায়েস্তাগঞ্জে ফরিদ আহমেদ আলিম, চুনারুঘাটে নাজিমউদ্দিন সামসু বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগ : রাজশাহীর নওহাটায় শেখ মকবুল হোসেন, দুর্গাপুরে সাইদুর রহমান (মন্টু), কেশরহাটে আলাউদ্দিন আলো, তাহেরপুরে আবু নাঈম মো. শামছুর রহমান (মিন্টু), কাঁকনহাটে হাফিজুর রহমান, আড়ানীতে তোজাম্মেল হক, তানোরে মিজানুর রহমান মিজান, চারঘাটে জাকিরুল ইসলাম, মুণ্ডুমালায় ফিরোজ কবীর, গোদাগাড়ীতে আনোয়ারুল ইসলাম, ভবানীগঞ্জে আবদুর রহমান প্রামানিক, তানোরে মিজানুর রহমান মিজান, কাটাখালীতে মাসুদ রানা, দুর্গাপুরে সাইদুর রহমান মন্টু ও পুঠিয়ায় বাবুল হোসেন লান্টু। নাটোর পৌরসভায় শেখ ইমদাদুল হক আল-মামুন, নলডাঙ্গায় আব্বাছ আলী, গুরুদাসপুরে মশিউর রহমান বাবুল, বড়াইগ্রামে ইসাহাক আলী, সিংড়ায় শামীম আল রাজি মো. শিহানুর রহমান ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হলেন। পাবনা পৌরসভায় নুর মোহাম্মদ মাছুম (বগা), ঈশ্বরদীতে মোকলেছুর রহমান (বাবলু), সাঁথিয়ায় সিরাজুল ইসলাম, সুজানগরে আজম আলী বিশ্বাস, চাটমোহরে আবদুর রহিম কালু, ভাঙ্গুড়ায় মজিবর রহমান, ফরিদপুরে এনামুল হক বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় মোকাদ্দেস আলী, শাহজাদপুরে নজরুল ইসলাম, উল্লাপাড়ায় বেলাল হোসেন, রায়গঞ্জে নুর সাঈদ সরকার, বেলকুচিতে আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল, কাজীপুরে মাসুদ রায়হান মুকুল বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন। বগুড়া পৌরসভায় মাহবুবুর রহমান, শেরপুরে স্বাধীন কুণ্ড, সারিয়াকান্দিতে টিপু সুলতান, গাবতলীতে সাইফুল ইসলাম, আদমদিঘীতে তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, কাহালুতে আবদুল মান্নান ভাটা, ধুনটে আলীমউদ্দিন, নন্দীগ্রামে সুশান্তকুমার শান্ত, শিবগঞ্জে আবদুল মতিন ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে শফিকুল ইসলাম, নাচোলে মো. কামারুজ্জামান; নওগাঁ পৌরসভায় নাজমুল হক সনি, নজিপুরে আনোয়ার হোসেন; জয়পুরহাট পৌরসভায় শামসুল হক, কালাইয়ে সাজ্জাদুর রহমান তালুকদার পাচ্ছেন ধানের শীষ প্রতীক।

রংপুর বিভাগ : পঞ্চগড় পৌরসভায় তৌহিদুল ইসলাম পেয়েছেন বিএনপির প্রত্যয়নপত্র। রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভায় পরিতোষ চন্দ্র চক্রবর্তী মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন। লালমনিরহাট পৌরসভায় আবদুল হালিম, পাটগ্রামে এ কে মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল। গাইবান্ধা পৌরসভায় মো. শহিদুজ্জামান শহীদ, গোবিন্দগঞ্জে ফারুক আহম্মেদ, সুন্দরগঞ্জে মশিউর রহমান সবুজ বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন।

কুড়িগ্রাম পৌরসভায় মো. নুরুল ইসলাম (নুরু), নাগেশ্বরীতে আদম আলী, উলিপুরে তারিক আবুল আলা চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফয়সাল আমিন, পীরগঞ্জে রাজিউর রহমান রাজু, রাণীশংকৈলে শাহজাহান আলী ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন।

দিনাজপুর পৌরসভায় জাহাঙ্গীর আলম, ফুলবাড়ীতে সাহাদাত আলী, বীরগঞ্জে আমিরুল বাহার, বিরামপুরে আশরাফ আলী মণ্ডল, হাকিমপুরে শওকত হোসেন শিল্পী, নীলফামারীর সৈয়দপুরে আমজাদ হোসেন সরকার, জলঢাকায় ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরীকে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

খুলনা বিভাগ : খুলনার চালনায় শেখ আবদুল মান্নান, সাতক্ষীরা পৌরসভায় তাসকির আহমেদ, কলারোয়ায় আখতারুল ইসলাম প্রত্যয়নপত্র পেয়েছেন বিএনপির। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় খন্দকার আবদুল জব্বার, দর্শনায় মহিদুল ইসলাম, জীবননগরে নওয়াব আলী, আলমডাঙ্গায় মীর মহিউদ্দিন; ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এ কে এম সালেহউদ্দিন বুলবুল, মহেশপুরে নাজিবুদ্দৌলা, হরিণাকুণ্ডে জিন্নাতুল হক, শৈলকুপায় খলিলুল রহমান; কুষ্টিয়া পৌরসভায় কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মিরপুরে আবদুল আজিজ খান, কুমারখালীতে তরিকুল ইসলাম, খোকসায় রাজু আহমেদ; মেহেরপুরের গাংনীতে ইনসারুল হক ধানের শীষ প্রতীকে প্রত্যয়নপত্র পেয়েছেন।

যশোর পৌরসভায় মারুফুল ইসলাম, নোয়াপাড়ায় রবিউল হোসেন, মনিরামপুরে শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, বাঘারপাড়ায় আবদুল হাই মনা, চৌগাছায় সেলিম রেজা আউলিয়া, কেশবপুরে সামাদ বিশ্বাস; মাগুরা পৌরসভায় ইকবাল আখতার খান; নড়াইল পৌরসভায় জুলফিকার আলী, কালিয়ায় এস এম ওয়াহিদুজ্জামান আলীকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে বিএনপি।

বরিশাল বিভাগ : বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে গিয়াসউদ্দিন দীপেন, বাকেরগঞ্জে মতিউর রহমান মোল্লা, উজিরপুরে শহীদুল ইসলাম; ঝালকাঠির নলছিটিতে মুজিবুর রহমান; পিরোজপুর পৌরসভায় আবদুর রাজ্জাক মুনাম, স্বরূপকাঠিতে শফিকুল ইসলাম ফরিদ; বরগুনার বেতাগীতে হুমায়ুন কবির, পাথরঘাটায় মল্লিক মো. আইয়ুব; পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আবদুল আজিজ মুন্সী; ভোলা পৌরসভায় হারুনুর রশীদ, বোরহানউদ্দিনে মনিরুজ্জমান, দৌলতখানে আনোয়ার হোসেন ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগ : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে আজমত আলী বাহাদুর, বাঁশখালীতে কামরুল ইসলাম হোসাইনি, সাতকানিয়ায় রফিকুল আলম, মিরসরাইয়ে রফিকুল ইসলাম পারভেজ, রাউজানে আবদুল্লাহ আল হাসান, বারইয়ারহাটে মাইনুদ্দিন লিটন, রাঙ্গুনিয়ায় হেলাল উদ্দিন, সীতাকুণ্ডে আবুল মনসুর, পটিয়ায় তহিদুল আলম বিএনপির পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রত্যয়নপত্র পেয়েছেন। খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আবদুল মালেক, মাটিরাঙায় বাদশা মিয়া; বান্দরবান পৌরসভায় জাবেদ রাজা, লামায় আমির হোসেন; রাঙামাটি পৌরসভায় সাইফুল ইসলাম ভুট্টোকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে বিএনপি। কুমিল্লার দাউদকান্দিতে টি এম আই খলিল, চৌদ্দগ্রামে নয়ন বাঙালি; চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আবদুল মান্নান খান, ছেংগারচরে সারোয়ারুর আবেদীন, ফরিদগঞ্জে মো. হারুন অর রশিদ, কচুয়ায় হুমায়ুন কবির প্রধান, মতলবে এনামুল হক বাদল বিএনপির প্রতীক পেয়েছেন। নোয়াখালী পৌরসভায় হারুনুর রশীদ আজাদ, হাতিয়ায় কাজী আবদুর রহিম, চাটখিলে মোস্তফা কামাল, চৌহমনীতে হারুনুর রশীদ হারুন, বসুরহাটে কামাল আহমেদ চৌধুরী; ফেনী পৌরসভায় ফজলুর রহমান বকুল, দাগনভূঞায় কাজী সাইফুর রহমান স্বপন, পরশুরামে মুস্তাহিদুল ইসলাম মাসুদ; লক্ষীপুরের রামগঞ্জে রুম্মন পাটোয়ারী, রামগতিতে সাহেদ আলী পটু, রায়পুরে এস এম জিলানি বিএনপির প্রতীকে মেয়র নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মহিউদ্দিন বানাতকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রামের চন্দনাইশে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপিকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

খালেদার গাড়িবহরে হামলার আসামিও পেলেন মনোনয়ন : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিও পেলেন বিএনপির টিকিট। ওই মেয়র প্রার্থী হলেন শিবচর পৌরসভার জাহাঙ্গীর কামাল। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ মাদারীপুর জেলা ও শিবচর বিএনপির বড় একটি অংশ। জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খুলনা সফরের পথে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে হামলার শিকার হয় তার গাড়িবহর। সে ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান খানের দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামি এই জাহাঙ্গীর কামাল। মামলার এজাহারে তার নাম রয়েছে আসামির তালিকায় ১৫ নম্বরে। এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কামাল বলেন, ‘আমি সে ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না। মামলার বাদী আবদুল মান্নান খানের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধের কারণে আমাকে আসামি করা হয়েছিল। সে মামলা অনেক আগেই ডিসমিস হয়ে গেছে।’

পৌর নির্বাচন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ-বিএনপি : বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন বলেছেন, বিএনপি পৌর নির্বাচনকে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ শুধু দলের জন্য নয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমরা নির্বাচনী মাঠে থাকব। গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগে দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফজলুল হক মিলন অভিযোগ করে বলেন, সারা দেশে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও গ্রেফতারও করা হচ্ছে। বিএনপি প্রার্থীদের গ্রেফতার, হয়রানি না করে নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মিলন আরও বলেন, আশা করি আমাদের নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যেতে বাধ্য করবেন না। তিনি বলেন, সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। কিন্তু পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।

সর্বশেষ খবর