শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পঙ্কজ ও গিবসনের বিদায়ী সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান তারা। প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। এ সময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। পৃথক বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন। প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে অবদান রাখায় ভারতীয় বিদায়ী হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। পারস্পরিক সহযোগিতায় দুই দেশ নিরাপত্তা, কানেকটিভিটি, বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন, সংস্কৃতি এবং দুই দেশের মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে। এটি অর্জনে পঙ্কজ শরণ ব্যাপক অবদান রেখেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত শুধু সহযোগিতাই করেনি, তারা শরণার্থীদেরও আশ্রয় দিয়েছিল। ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে পঙ্কজ শরণ বলেন, কখনো কোনো সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিদায়ী হাইকমিশনার দুই দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আরও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নকে ঐতিহাসিক হিসেবেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রদান প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, চলতি বছরে সাড়ে ৬ লাখ ভিসা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর ৭ লাখ হবে বলে আশা করছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পঙ্কজ শরণের সাক্ষাতের পর দেখা করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য গণতন্ত্র ও স্বাধীনতায় অভিন্ন মূল্যবোধে বিশ্বাসী। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের জনগণ ও রাজনীতিকদের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্সের কথা পুনরায় উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি ও বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সফলতার কথাও তুলে ধরেন। সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় গিবসনের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান বিদায়ী হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর