রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সুশাসনে নিচে, গণমাধ্যমের অর্জন প্রশংসার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুশাসনে নিচে, গণমাধ্যমের অর্জন প্রশংসার

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. আকবর আলি খান বলেছেন, আমাদের মনে রাখতে হবে টিআইবি সরকারের শত্রু নয়। বন্ধু। তবে সব সরকারই টিআইবিকে প্রতিপক্ষ মনে করে। এটা ঠিক নয়। গতকাল টিআইবির কার্যালয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রতিযোগিতা পুরস্কার-২০১৫ ঘোষণা এবং গণমাধ্যম ও সুশাসন শীর্ষক আলোচনা সভায়  তিনি এ কথা বলেন। আকবর আলি খান আরও বলেন, টিআইবির কোনো প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি থাকলে তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু টিআইবি বন্ধ করে দেওয়ার মতো হুঁশিয়ারি আসাটা ঠিক নয়। এতে মত প্রকাশ বা সমালোচনা করার স্বাধীনতা বিঘ্নিত হতে পারে। তিনি বলেন, অনেক দুর্বলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যে অর্জন, তা গর্ব করার মতো। বিশেষ করে বিশ্বে সুশাসনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নিচের দিকে হলেও এদেশের গণমাধ্যমের অর্জন প্রশংসনীয়। ড. আকবর আলি খানের সভাপতিত্বে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল। আলোচনায় অংশ নেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী, এমআরডিআই’র নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে এ বছর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিজয়ী সাংবাদিকদের পুরস্কার হিসেবে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকার চেক এবং দুজন ভিডিও চিত্রগ্রাহকের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হবে। ড. গওহর রিজভী বলেন, স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র চলতে পারে না। গণমাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্রের ভিত্তি সরকারও এই বিষয়ে অবগত। বর্তমান এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কোনো সংবাদ প্রকাশে কোনো সরকারই বাধা দিতে পারে না। গণমাধ্যম নানা উপায়ে সে সংবাদ জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়। আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শুধু সরকারের দিক থেকেই বাধাগ্রস্ত হয় না। এক্ষেত্রে সম্পাদকদের ওপর মিডিয়ার কর্পোরেট মালিকদের খবরদারির বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার সময় এসেছে। তিনি আরও বলেন, সংবাদ মাধ্যম ছাড়াও এখন সঙ্গে রয়েছে ইন্টারনেট ও ফেসবুক। সবসময় সব সরকার ও নেতারাই গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ করেন। তবে এখন আর সরকার গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে চাপ দেয় না। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে গণমাধ্যমকে বাধা দিয়ে সংবাদ দমন করা যায় না। এখন সামাজিক গণমাধ্যম অনেক শক্তিশালী। সংবাদকে আটকে রাখার কোনো সুযোগ নেই। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ থাকার পরও আমাদের দেশের গণমাধ্যম ঝুঁকি নিয়ে ভালো কাজ করে যাচ্ছে। গণমাধ্যম সরকারের সহযোগী ও সহযোদ্ধা হিসেবেই কাজ করে থাকে। তাই গণমাধ্যম যেমন সরকারের ইতিবাচক তথ্য প্রচার করবে, তেমনি সরকারের সমালোচনাও করবে। এই সমালোচনা সরকারকে ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর