রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ব্যাংকিং খাতের ধস ঠেকানো গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংকিং খাতের ধস ঠেকানো গেছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ২০০৯-১০ সালে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর সিদ্ধান্ত না নিলে ৮-১০টি ব্যাংক শেষ হয়ে যেত। সে সময় শেয়ারবাজার যেভাবে উন্মাদের মতো এগোচ্ছিল তাতে কঠোর হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সিদ্ধান্তের কারণে শেয়ারবাজার যেমন বেঁচেছে তেমনি ব্যাংকিং খাতের ধসও ঠেকানো গেছে।  গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর অনাবাসী বাংলাদেশি (এনআরবি) আয়োজিত শেয়ারবাজার ও আবাসন খাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আতিউর রহমান বলেন, একটি স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য একটি শক্তিশালী শেয়ারবাজার জরুরি। আমি একটি স্থিতিশীল শেয়ারবাজার দেখতে চেয়েছি। সে জন্য যেসব সিদ্ধান্ত নিতে হয় আমরা তেমনভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। কিছু পদক্ষেপ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমালোচনা করেছেন অনেকে। এমনকি আমাকে নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। পরিস্থিতির কারণেই আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সন্তান যখন অবাধ্য হয়ে যায়, তখন মাঝেমধ্যে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সে সিদ্ধান্ত নিয়েই আমি শুধু শেয়ারবাজার নয়, মুদ্রাবাজারকেও বাঁচিয়েছি। না হলে আজ ৮-১০টি ব্যাংক ধসে পড়ত। এখন সবাই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছেন। গভর্নর বলেন, বিএসইসি, সরকারসহ সবার সম্মিলিত চেষ্টায় এখন বাজার স্থিতিশীল। একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে তা আরও ভালো করবে। শেয়ারবাজারে যেসব ব্যাংকের সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ ছিল, সেসব ব্যাংক নিজেদের প্রয়োজনে সমন্বয় করে ফেলেছে। কয়েকটি ব্যাংক এখনো সমন্বয় করে উঠতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারাও সমন্বয় করে ফেলতে পারবে। সেন্টার ফর এনআরবির সভাপতি এম এস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এনবিআর সদস্য পারভেজ ইকবাল, ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান, আহসানুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি আহমেদ রশীদ, মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুরুল আমিন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর