সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জরুরি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জরুরি

গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিষয়ক পরবর্তী আন্ডার সেক্রেটারি টমাস শ্যানন বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য এক। আমাদের উভয় দেশই সহিংস উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী হুমকির মুখে একইভাবে অরক্ষিত। কিন্তু একে পরাজিত করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি এবং আরও অনেক কিছু করার আছে। বাংলাদেশসহ সব দেশ কেবল শান্তিপূর্ণ ও উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জাতীয় বিতর্কের মাধ্যমে পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে পারে।  পৌরসভা নির্বাচন আসছে। আমি আশা করি, গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্নিশ্চিত করতে প্রত্যেকেই সুযোগটি সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগাতে চাইবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে বিআইআইএসএস আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক : বৈশ্বিক ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করা’ শীর্ষক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গতকাল সকালে দুদিনের সফরে টমাস শ্যানন ঢাকায় পৌঁছলে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। টমাস শ্যানন পররাষ্ট্র দফতরের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারমেনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের তৃতীয় শীর্ষ ব্যক্তি। মনোনয়ন পাওয়ার পর পরিচিত হতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। আজ সকালেই তিনি শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।  শ্যানন অন্য যে কোনো দেশে সফরে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছেন। সে বিবেচনায় তার সফর তাত্পর্যপূর্ণ। তার এ সফরে সঙ্গী হিসেবে ছিলেন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি নিশা দেশাই বিসওয়াল ও ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মনপ্রীতি সিং আনন্দ। নিশা বিসওয়াল গত রাতেই ভারতে গেছেন। পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পরিণত ও বহুমুখী। এটি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সফর তারই প্রমাণ। শ্যানন তার বক্তৃতায় বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ’ দেশ গড়ার অভিন্ন লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে।  সহিংস উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসীরা এ স্বপ্ন লালন করে না। তারা বাংলাদেশকে বিশৃঙ্খল, দুর্বল ও বিভক্ত দেখতে চায়। ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ধ্বংস করতে চায়। তিনি বলেন, গত ৪০ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করে জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে। আগামী চল্লিশ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না।  যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয়—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না। টমাস শ্যানন নারীর ক্ষমতায়নের উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

সর্বশেষ খবর